এক দিনের ক্রিকেটে প্রায় ১১ হাজার রান করেছেন। রয়েছে ৩২টি শতরান। সেই রোহিত শর্মা ছিলেন সমালোচনার কেন্দ্রে। ব্যাটে দীর্ঘ দিন রান ছিল না। শেষ ১০টি ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ৭০ রান। কটকে সেই রোহিতই রানে ফিরেছেন। ৯০ বলে খেলেছেন ১১৯ রানের ইনিংস। এই রান যে তাঁর খুব দরকার ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন রোহিত। পাশাপাশি খারাপ সময় কী ভাবে কাটিয়েছেন সে কথাও জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
এত বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলার সুবাদে রোহিত জানতেন, তাঁকে কী করতে হবে। কিন্তু মাঠে নেমে সেটা করতে পারছিলেন না তিনি। রোহিত বলেন, “যখন কেউ এত বছর ধরে খেলে এত রান করেছে, তার মানে সে ব্যাট করতে জানে। আমি জানতাম, কী ভাবে রান করতে পারব। সেটাই প্রতি ম্যাচে নেমে করতে চেয়েছি। শুধু ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। এই ম্যাচেও সেটাই করেছি। আলাদা কিছু নয়।”
কিন্তু চেষ্টা করলেও সব সময় সফল হওয়া যায় না। রোহিতের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁর পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু তা মাঠে নেমে করতে পারছিলেন না তিনি। রোহিত বলেন, “প্রতিটা ম্যাচে মাঠে নেমে দলের জন্য রান করতে চেয়েছি। কখনও হয়েছে। কখনও হয়নি। কিন্তু আমার পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল। সেটাই আমার কাছে আসল ছিল। কারণ, এই পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েই তো এত বছর রান করেছি। তা হলে এখন কেন পারব না? সেই প্রশ্ন করেছি। মানসিকতা বদলাইনি।”
আরও পড়ুন:
খারাপ সময়ে ভেঙে পড়েননি রোহিত। নিজেকে বুঝিয়েছেন, এক দিন রান আসবে। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলেছেন। তিনি জানেন, এই শতরানও তাঁর জীবন বদলে দেবে না। রোহিত বলেন, “আমি শুধু নিজের কাজটা করেছি। এত দিন ধরে খেলছি। একটা বা দুটো ইনিংস আমার জীবন বদলে দেবে না। এ ভাবেই খেলতে চাই। নেমে দলকে জেতাতে চাই। যখন রান পাচ্ছিলাম না, তখনও এই ভাবেই ভেবেছি। এখনও এই ভাবে ভাবছি।”
কটকে নিজের ইনিংস কী ভাবে সাজিয়েছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রোহিত। তিনি বলেন, “কী ভাবে ব্যাট করব সেটাকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। এই ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টির থেকে বড় এবং টেস্টের থেকে অনেক ছোট। তবু পরিবেশকে বুঝে নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। চেয়েছিলাম মনঃসংযোগ ধরে রেখে যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে।”
রোহিতের মতে, কালো মাটির পিচে ব্যাট করা সহজ কাজ নয়। কারণ, এই পিচে বল পড়ে মাঝেমাঝেই পিছলে ব্যাটে আসে। কী ভাবে সামলেছিলেন সেটা? রোহিতের উত্তর, “ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ওরা চাইছিল আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করতে। শট খেলার জায়গা দিতে চাইছিল। আমি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করে চেষ্টা করেছি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে বার করার। সফলও হয়েছি।”