ভারতের ইংল্যান্ড সফরের আগে আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁকে ছাড়াই খেলতে গিয়ে ২-২ সিরিজ় ড্র করেছে ভারত। কোহলি থাকলে কি সিরিজ় জিততে পারত ভারত? তাঁর অভাব কি টের পেয়েছেন আকাশদীপ? বাংলার পেসার সাহস করে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কোহলির অভাব টের পাননি। তিনি ভবিষ্যতের দিতে তাকাতে চান।
‘আজ তক’-কে আকাশদীপ জানিয়েছেন, ক্রিকেটে এক জনের পক্ষে জেতানো সম্ভব নয়। সকলকে ভাল খেলতে হয়। তাই আলাদা করে এক জনের কথা তিনি ভাবেন না। আকাশদীপ বলেন, “দেখুন, এটা দলগত খেলা। এক দিন তো আমিও এর অংশ থাকব না। আমার পরে অন্য কেউ আসবে। কিন্তু দলের পরিবেশ এক থাকবে। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। এক জনের নয়। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তবে কি কোহলির অভাব একেবারেই টের পাননি আকাশদীপ? এর জবাবে তিনি বলেন, “কোহলি ভাই কত বড় ক্রিকেটার তা সকলেই জানে। ভারতীয় দলকে ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। ওর সময়ে ভারতীয় দলের যে বিবর্তন হয়েছে তা সকলে দেখেছে। এখন শুভমনের সময়। ওর প্রথম সিরিজ়েই ও নজর কেড়েছে। সকলে ভাল খেলেছে। সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। অন্য কিছু আমি ভাবতে চাই না।”
আকাশদীপের কথা থেকে পরিষ্কার, ব্যক্তির থেকে আগে দলকে রাখতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, প্রত্যেকের নির্দিষ্ট সময় থাকে। এক জন চলে গেলে সেই জায়গায় অন্য কেউ আসেন। কিন্তু প্রত্যেকেই দলকে জেতানোর চেষ্টা করেন। ভাল খেলার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের থেকে দলগত সাফল্যকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
তবে আকাশদীপের থেকে ভিন্ন মত ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান দিলীপ বেঙ্গসরকারের। তিনি কোহলিকে ইংল্যান্ডে দেখতে চেয়েছিলেন। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে বেঙ্গসরকার বলেন, “যদি আমি নির্বাচক প্রধান হতাম, তা হলে ইংল্যান্ড সিরিজ় খেলার পর কোহলিকে অবসর নিতে বলতাম। এই সিরিজ়ে ওর ব্যাটিং ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল।”
ইংল্যান্ডে পাঁচটার মধ্যে তিনটে টেস্ট খেলেছেন আকাশদীপ। তিন টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টেই নিয়েছেন ১০ উইকেট। তাঁর দাপটে এসজবাস্টনে প্রথম বার জিতেছে ভারত। ওভালে জয়েও ভূমিকা রয়েছে বাংলার পেসারের। ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ, দুটো জয়েই অবদান রয়েছে আকাশদীপের। দেশে ফিরে এ বার সামনে দলীপ ট্রফি। তার আগে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।