Advertisement
E-Paper

কেকেআরের কোচ, অধিনায়ক মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে, তবু পিচ বুঝলেন না রাহানে, পণ্ডিত!

অজিঙ্ক রাহানের ঘরের মাঠ মুম্বই। সেই মাঠে খেলেই বড় হয়েছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। কিন্তু দুই মুম্বইকরকে নিয়েও ওয়াংখেড়েতে বহিরাগত হয়ে রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৯
Chandrakant Pandit and Ajinkya Rahane

কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ছবি: পিটিআই।

অজিঙ্ক রাহানের ঘরের মাঠ মুম্বই। সেই মাঠে খেলেই বড় হয়েছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। কিন্তু দুই মুম্বইকরকে নিয়েও ওয়াংখেড়েতে বহিরাগত হয়ে রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কলকাতা। যে ম্যাচ শাহরুখ খানের কাছে সম্মানের লড়াই। কারণ তাঁর কর্ম মুম্বইয়ে। যে শহর থেকে গোটা বিশ্বের হৃদয় জিতেছেন ‘বাদশাহ’। কিন্তু তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এ বারেও মুম্বই জয় করতে পারল না। কেকেআরের অধিনায়ক এবং কোচ মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে। কিন্তু তাঁরা যে ঘরের পিচটাই বুঝতে পারলেন না।

টসে হেরে রাহানে বলেন, “টস জিতলে আমরাও বলই করতাম। পিচ কেমন হবে তা বুঝতে পারছি না। সাধারণত ওয়াংখেড়েতে ব্যাটারেরা সুবিধা পায়। এখন হাওয়া দিচ্ছে। আশা করছি শিশির পড়বে না। আশা করছি বড় রান তুলতে পারব।” আশাপূরণ হয়নি কেকেআরের। মাত্র ১১৬ রান তোলে তারা। মুম্বইয়ের পেসারদের দাপটে পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট হারায় কেকেআর। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি রাহানের দল।

২০০৭ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বার মুম্বইয়ের জার্সি পরেছিলেন রাহানে। এখন তিনি সেই দলের অধিনায়ক। রাহানের নেতৃত্বে মুম্বই রঞ্জিও জিতেছে। ওয়াংখেড়ের পিচ তিনি বুঝতে পারবেন না? রাহানে পিচ বুঝতে পারেননি শুনে চমকে উঠেছিলেন সঞ্চালক রবি শাস্ত্রীও। তিনি বলেন, “তুমি যদি মুম্বইয়ের পিচ বুঝতে না পারো তা হলে কে বুঝবে?”

সত্যিই তো। রাহানে মুম্বইয়ের পিচ বুঝতে পারেননি শুনলে অবাক তো লাগার কথাই। তিনি যে বুঝতে পারেননি, সেটা দল নির্বাচন থেকেও বোঝা গিয়েছে। আর সেখানেই কোচের ব্যর্থতা। তিনিও যে মুম্বইয়েরই। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে দেশের অন্যতম সেরা কোচ বলা হয়। বিভিন্ন দলকে একাধিক বার রঞ্জি জিতিয়েছেন তিনি। পণ্ডিত নিজে মুম্বইয়ের হয়ে খেলতেন। সেই দলের কোচও ছিলেন এক সময়। পণ্ডিতও বুঝলেন না ওয়াংখেড়ের পিচ কেমন!

ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এটা ব্যাটিং পিচ। ঘাস রয়েছে পিচে। স্পিনারদের জন্য যে খুব বেশি কিছু নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অইন মর্গ্যান এবং নিক রাইট। তাঁরা চিন্তায় ছিলেন সুনীল নারাইন এবং বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে। কারণ পিচে বল পড়ে দ্রুত যাবে বলেছিলেন রাইটেরা। বাউন্সার যে সমস্যা তৈরি করবে সেটাও বলেছিলেন। এত কিছুর পরেও কেকেআর নেমেছিল দু’জন পেসারের ভরসায়। যেখানে প্রথমে বল করার সুবিধা পাওয়া মুম্বই দলে ছিলেন হার্দিককে নিয়ে চার জন পেসার।

GFX

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কেকেআর হয়তো ভেবেছিল বল করার সময় বৈভব আরোরাকে দলে নেবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে। কিন্তু সেই সুযোগ আর হয়নি। কারণ ব্যাটারদের ব্যর্থতা সামাল দিতে নামাতে হয়েছিল মণীশ পাণ্ডেকে। তাতেও লাভ হয়নি। কারণ কেকেআর শেষ হয় যায় ১১৬ রানে। এই রান নিয়ে লড়াই করা সম্ভব নয়, এমনটা বলা যায় না। কিন্তু কেকেআরের সেই রসদ ছিল না। কারণ দলে তখন দুই পেসার স্পেনসার জনসন এবং হর্ষিত রানা। তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব দেওয়া হয় আন্দ্রে রাসেলকে। তিনি উইকেটও নেন। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁকে টানা বল করায় না কেকেআর।

রাসেলকে বল করার জন্য পুরো ফিট নন? সোমবার হাতে মাত্র ১১৬ রান। রাসেল নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিলেন। তার পরেও পঞ্চম ওভারের পর ১১তম ওভারে বল করতে আনা হল তাঁকে। আগের ম্যাচগুলিতেও খুব বেশি বল করতে দেখা যায়নি রাসেলকে। এমন অবস্থায় রাহানেরা যদি পিচ বুঝতে পারতেন, তা হলে বৈভবকে প্রথম একাদশে রেখেই দল গঠন করতেন। সে ক্ষেত্রে বরুণকে বসিয়ে রাখা যেত। মুম্বইয়ের পিচে যখন স্পিনারদের দিয়ে কাজ হচ্ছে না, তখন এক জন স্পিনার কম খেললেই বা কী ক্ষতি হত। তিন জন পেসার থাকলে হয়তো লড়াইটা দিতে পারত কলকাতা।

ম্যাচ শেষে রাহানে যদিও পুরো দোষটা ব্যাটারদের ঘাড়েই দিলেন। তিনি বলেন, “পুরো ব্যাটিং বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে। টসের সময় বলেছিলাম, এটা ব্যাটারদের পিচ। ১৮০-১৯০ রান হওয়া উচিত ছিল। পিচে বাউন্স ছিল। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বল হাতেও খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হয়নি। ওরা চেষ্টা করেছে। কিন্তু রানটাই ওঠেনি। পর পর উইকেট হারিয়েছি।”

KKR Kolkata Knight Riders Ajinkya Rahane Chandrakant Pandit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy