আইপিএলের প্লে-অফ থেকে বিদায় নেওয়ার পরের ম্যাচেই বড় রান করল লখনউ সুপার জায়ান্টস। বোঝা গেল, চাপ না থাকলে ব্যাটারদের খেলার ধরনটাই বদলে যায়। এই ম্যাচের ফলের উপর লখনউয়ের কিছু নির্ভর করছে না। তাই উপভোগ করল তারা। শতরান করলেন মিচেল মার্শ। আইপিএলে এটি তাঁর প্রথম শতরান। অর্ধশতরান করলেন নিকোলাস পুরান। বেশ কয়েকটি ইনিংস পরে আবার রানে ফিরলেন তিনি। রান করলেন এডেন মার্করামও। এই তিন ব্যাটারের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২৩৫ রান তুলল লখনউ।
এ বারের আইপিএলে লখনউয়ের সিংহভাগ রান করেছেন মার্করাম, মার্শ ও পুরান। যে ম্যাচে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন সেই ম্যাচে সমস্যায় পড়েছে দল। অহমদাবাদের মাঠে আরও এক বার দাপট দেখালেন লখনউয়ের তিন ব্যাটার। শুরু থেকেই হাত খোলা শুরু করেছিলেন মার্শ ও মার্করাম। গুজরাতের পেসারেরা এই মরসুমে ভাল বল করেছেন। কিন্তু শুরু থেকে আক্রমণে খেই হারিয়ে ফেললেন তাঁরা। বিশেষ করে কাগিসো রাবাডা ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ হতাশ করলেন।
শুরু থেকেই ওভার প্রতি ১০ রানের বেশি করছিলেন মার্শ ও মার্করাম। মার্শকে বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল। দু’জনের মধ্যে ৯১ রানের জুটি হয়। ৩৬ রানের মাথায় মার্করামকে আউট করেন সাই কিশোর। কিন্তু বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি গুজরাতের ক্রিকেটারদের হাসি। রশিদ খানের প্রথম ওভারে রান তোলার গতি এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন মার্শ। সেই ওভারে ২৫ রান করলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
তিন নম্বরে নামা পুরানও এই ম্যাচে হাত খুলে খেলা শুরু করেন। বোঝা যাচ্ছিল, আউট হওয়ার ভয় তাঁদের নেই। চালিয়ে খেলার পুরস্কার পেলেন মার্শ। শতরান করলেন তিনি। আইপিএলে দীর্ঘ দিন ধরে খেললেও এই প্রথম শতরান করলেন তিনি। কিন্তু সেই শতরান আগে এলে বেশি ভাল হত লখনউয়ের। অনেক ম্যাচ পরে সেই পুরনো পুরানকেও দেখা গেল। ১৯তম ওভারে আউট হলেন মার্শ। ৬৪ বলে ১১৭ করলেন তিনি। এ বারের আইপিএলে তিনি একমাত্র বিদেশি ব্যাটার হিসাবে শতরান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করল লখনউ। পুরান ৫৬ ও ঋষভ পন্থ ১৬ রানে অপরাজিত থাকলেন।
এই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দুই দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগ অনেকটাই বাড়বে গুজরাতের। তাদের রান তাড়া করার রেকর্ড ভাল। গত ম্যাচেই দিল্লির বিরুদ্ধে ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটে জিতেছে গুজরাত। তবে এই ম্যাচে রান তাড়া করা সহজ হবে না শুভমন গিলদের। কঠিন লক্ষ্য তাঁদের সামনে।