স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গে থাকে না তাঁর পুত্র অগস্ত্য। যদিও মাঝে মাঝেই পুত্রের দেখা পান হার্দিক। চার বছরের অগস্ত্য পিতার খেলা দেখতে মাঠেও যায়। যেমনটা সে গিয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। মুম্বই-দিল্লি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল সে। গুরুত্বপূর্ণ খেলার মাঝেও হার্দিকের মধ্যে এক দায়িত্বশীল পিতাকে দেখা গেল। মাঠে দাঁড়িয়েই পুত্র অগস্ত্যকে ঘুমিয়ে পড়তে বললেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।
বুধবার মুম্বই-দিল্লি ম্যাচ শেষ হতে ১১টা ২০ বেজে যায়। ১১টা বাজার পর হার্দিককে দেখা যায়, বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডে থাকা পুত্রের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছেন। হার্দিক ঘড়ি দেখিয়ে কিছু একটা বলছিলেন পুত্রকে। ভাল করে দেখলে বোঝা যায়, তিনি বলছেন, “রাত ১১টা বেজে গিয়েছে। এ বার ঘুমোতে যাও।” চার বছরের অগস্ত্য অবশ্য পিতার কথা শোনেনি। বাকি সকলের মতো মুম্বইয়ের প্লে-অফে ওঠার সাক্ষী থেকেছে সে।
এ বারের আইপিএলে মুম্বই শিবিরে প্রায়ই দেখা গিয়েছে অগস্ত্যকে। পিতার সঙ্গে দলের অনুশীলনে গিয়েছে সে। মাঠে ব্যাট করতেও দেখা গিয়েছে তাকে। অগস্ত্যের সঙ্গে মুম্বইয়ের অনেক ক্রিকেটারকে মজা করে খেলতেও দেখা গিয়েছে। মাঠে দাঁড়িয়ে হার্দিক যে ভাবে পুত্রের খেয়াল রেখেছেন তাঁর প্রশংসা হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী নাতাশার সঙ্গে বিয়ের পর ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির মঝেই জন্ম হয়েছিল অগস্ত্যের। ছোট্ট অগস্ত্যের সঙ্গে প্রায়ই সমাজমাধ্যমে ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করতেন হার্দিক। কিন্তু ধীরে ধীরে বোঝা যায়, তাঁর সঙ্গে নাতাশার সম্পর্কে চিড় ধরেছে। দু’জনে আলাদা থাকা শুরু করেন। অবশেষে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। কিন্তু বিচ্ছেদের পরেও পুত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে একই রয়েছে তা আরও এক বার প্রমাণ করেছেন হার্দিক।
অধিনায়ক হিসাবে এই মরসুমে সফল হয়েছেন হার্দিক। চার বছরের খরা কাটিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্লে-অফে তুলেছেন তিনি। আরও এক বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে মুম্বই। তেমনটা হলে আইপিএলের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে দু’টি আলাদা দলকে চ্যাম্পিয়ন করার রেকর্ড করবেন হার্দিক। ২০২২ সালে গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএলে জিতিয়েছিলেন তিনি। এ বার মুম্বইয়ের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।