মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
হার্দিক পাণ্ড্যর পথে মহম্মদ শামিও? ১৯ ডিসেম্বরের নিলামের আগেই গুজরাত টাইটান্স থেকে বাংলার জোরে বোলারকে কিনে নিতে পারে অন্য একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। সূত্রের খবর, আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষ সরাসরি যোগাযোগ করেছে শামির সঙ্গে। তাদের বিরুদ্ধে ‘নিয়ম ভেঙে ছিনতাই’এর অভিযোগ করেছেন গুজরাত টাইটান্সের সিইও অরবিন্দর সিংহ।
হার্দিককে ধরে রাখার পরেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে গুজরাত। এ বার কি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিকেও বিক্রি করে দেবে তারা? বিষয়টা ঠিক তেমন নয়।
এক সাক্ষাৎকারে অরবিন্দরের অভিযোগ, আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম না মেনে শামির দিকে হাত বাড়িয়েছে। বিষয়টি তাঁরা বোর্ড কর্তাদের জানিয়েছেন। তবে শামিকে ধরে রাখতে মরিয়া গুজরাত কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেছেন, ‘‘সব দলেরই অধিকার রয়েছে ভাল ক্রিকেটার নেওয়ার। দল শক্তিশালী করতে ভাল ক্রিকেটারদের নিতে পারে যে কোনও দল। শামি আমাদের হয়ে বেশ ভাল খেলেছে গত দু’বছর। গত বার আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিল। এ বারের বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। শামি আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’’
এর পরেই সুর চড়িয়ে গুজরাত সিইও বলেছেন, ‘‘একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি সরাসরি শামির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। খেলোয়াড় কেনা বা বিক্রি করা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেটা সবার মেনে চলা উচিত। এই ধরনের ঘটনায় বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বোর্ড কর্তারা সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সঙ্গে কথা বলুন। তাঁরা ঠিক করে দিন, নিয়মের বাইরে গিয়ে এ ভাবে কোনও ক্রিকেটারকে কেনা যাবে কিনা।’’ কোন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষ সরাসরি শামিকে দলবদলের প্রস্তাব দিয়েছেন? গুজরাত সিইও নাম প্রকাশ করতে চাননি।
২০২১ সালের নিলামে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়ে শামিকে কিনেছিল গুজরাত। দুই মরসুমে গুজরাতের হয়ে আইপিএলে ৪৮টি উইকেট নিয়েছেন বাংলার জোরে বোলার। গত বছর ২৮টি উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতায় বেগনি টুপি (সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পুরস্কার) জিতেছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপেও তিনি নিয়েছেন ২৪টি উইকেট। তিনটি ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রিকেট মহলের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছেন বাংলার জোরে বোলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy