২০২৩ সাল থেকে আইপিএলে শুরু হয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম। এই নিয়ম কাজে লাগিয়ে এক জন অতিরিক্ত ক্রিকেটার খেলাতে পারে দলগুলি। অর্থাৎ, প্রথমে কোনও দল ব্যাট করলে পরে বল করার সময় এক ব্যাটারের বদলে এক বোলার খেলানো যায়। বিপরীত ক্ষেত্রেও একই সুবিধা পাওয়া যায়। এই নিয়মের ফলে অলরাউন্ডারদের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন রোহিত শর্মা। সেই একই সুর শোনা গিয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যের গলাতেও। দু’জনেরই মতে, এখন বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডার না হলে আইপিএলে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন।
এ বারের আইপিএল শুরু হওয়ার আগে জানা গিয়েছে, আপাতত ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম থাকবে। রোহিতের মতে, এই নিয়মের ফলে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার ও বোলার খেলানো যায়। ফলে অলরাউন্ডারদের জায়গা কমছে। এই নিয়ম বেশি দিন চালু থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডারের সংখ্যা কমবে। রোহিত বোঝাতে চেয়েছেন, যদি কোনও ক্রিকেটার ব্যাটিং ও বোলিং দু’টিই ভাল করেন তবেই তিনি দলে জায়গা পাবেন। এক জন ব্যাটার যিনি বলও করতে পারেন, বা এক জন বোলার, যিনি ব্যাটটাও চালাতে পারেন, এমন ক্রিকেটারদের সুযোগ কমবে।
হার্দিকের মুখেও সেই কথাই শোনা গিয়েছে। এ বার আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে মুম্বই। সেই ম্যাচে খেলতে পারবেন না হার্দিক। এক ম্যাচ নির্বাসিত তিনি। চেন্নাই ম্যাচের আগে একটি অনুষ্ঠানে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। হার্দিক বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কেউ যদি বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডার না হয়, তা হলে তার প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন। আশা করছি সামনের দিন এই নিয়ম বদলাবে। কিন্তু যদি আপনি আরও অলরাউন্ডার তৈরি করতে চান, তা হলে দলে তাদের জন্য জায়গা করতে হবে। এই নিয়ম থাকলে তা হবে না।” হার্দিক নিজেও অলরাউন্ডার। সেই কারণে হয়তো তিনি বুঝতে পারছেন, এই নিয়ম অলরাউন্ডারদের কতটা ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুন:
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের ফলে প্রথম একাদশ তৈরি করার সময় বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও বিশেষজ্ঞ বোলারদের খেলানোর দিকে নজর থাকে দলগুলির। কারণ, তারা জানে, দ্বিতীয় ইনিংসে এক জনকে পরিবর্তন করা যাবে। ক্রিকেটে প্রচলিত কনকাসন পরিবর্তের থেকে এই নিয়ম আলাদা। কনকাসন পরিবর্ত নেওয়ার সময় দেখা হয়, যাঁর পরিবর্তে ক্রিকেটার নামানো হবে, তিনি ব্যাটার না বোলার। অর্থাৎ, এক ব্যাটারের পরিবর্তে ব্যাটার, বোলারের পরিবর্তে বোলার বা অলরাউন্ডারের পরিবর্তে অলরাউন্ডারকে খেলানো যায়। কিন্তু ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে দলে মোট ১২ জন খেলতে পারেন একটি ম্যাচে। ফলে অলরাউন্ডারদের চাহিদা কমছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেখানে অলরাউন্ডারদের চাহিদা বাড়ছে সেখানে আইপিএলে তা কমলে আখেরে ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি হতে পারে। সেটাই চাইছেন না রোহিত, হার্দিকেরা।