রাচিন রবীন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
তিনি ক্রিকেট সমর্থক। সচিন তেন্ডুলকরের খেলা দেখতেন। মাঠে বসে অসংখ্য দর্শকের সঙ্গে চিৎকার করতেন, “সচিন-সচিন”। কিন্তু এখন তাঁর মুখে শোনা যায় “রাচিন-রাচিন” চিৎকার। নিউ জ়িল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্রের বাবা জানালেন ছেলের নাম রাচিন রাখার সময়ের ঘটনার কথা।
রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তির বয়স ৫৩ বছর। পেশায় সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রবি ভারত থেকে কাজের সূত্রে চলে গিয়েছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডে। ছেলের খেলা দেখতে ভারতে এসেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাচিন যখন শতরান করেন, গোটা মাঠ চিৎকার করছিল “রাচিন-রাচিন” বলে। আর রবি ফিরে গিয়েছিলেন সেই সময়ে, যখন সচিন ব্যাট করতে নামলে চিন্নাস্বামীতে চিৎকার উঠত, “সচিন-সচিন”।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাচিনের বাবা বলেন, “আমার মতো যারা সচিনের খেলা দেখেছে এবং মাঠে সচিন-সচিন চিৎকার শুনেছে, তাদের কাছে এই রাচিন-রাচিন চিৎকার পুরনো স্মৃতি উসকে দেওয়ার মতো।” রবি নিজেও ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। নিউ জ়িল্যান্ডের ওয়েলিংটনে হাট হকস নামে একটি ক্রিকেট ক্লাব চালান তিনি। বেশির ভাগ সময়টাই তিনি ব্যয় করেন ছেলেকে ভাল ক্রিকেটার তৈরি করার ভাবনায়।
বুধবার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে মাঠে নামবে ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড। সেই ম্যাচে ফর্মে থাকা রাচিনকে আউট করার লক্ষ্য থাকবে রোহিত শর্মাদের। আর রাহুল দ্রাবিড় সাজঘরে বসে সেই পরিকল্পনা করবেন। সচিন থাকতে পারেন ওয়াংখেড়ের স্ট্যান্ডে। তাঁরা সকলেই চাইবেন রাচিন যাতে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। রবি বলেন, “রাচিনের জন্মের পর ওর মা বলেছিল এই নামটা রাখতে। আমিও খুব বেশি ভাবিনি। কিন্তু তখন জানতাম না যে, ও ক্রিকেটার হবে।”
এ বারের বিশ্বকাপে ৫৬৫ রান করেছেন রাচিন। প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে সব থেকে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সেমিফাইনালেও দলের বড় ভরসা রাচিন। বুধবার তাই মাঠে রাহুল-সচিন থাকলেও রবি চিৎকার করবেন “রাচিন-রাচিন” বলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy