আইপিএলের গত মেগা নিলামের আগে নীতীশ কুমার রেড্ডিকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রেখেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ। আগামী আইপিএলে সম্ভবত তাঁকে আর প্যাট কামিন্সের দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে না। নীতীশকে ছেড়ে দিতে পারে হায়দরাবাদ। আগামী বছর নতুন করে নিলামে উঠতে পারেন তিনি।
নীতীশের পারফরম্যান্সে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ অখুশি নন। তবু তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আসলে নীতীশই আর হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে চাইছেন না। এমনিতে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাত নেই ভারতীয় দলের অলরাউন্ডারের। নীতীশ অখুশি তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। একই সঙ্গে তিনি আইপিএল খেলতে চান অলরাউন্ডার হিসাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নীতীশ নিজেই হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
গত আইপিএলে হায়দরাবাদের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেন নীতীশ। তাঁকে মূল বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবে খেলানো হয়েছিল। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ থেকে সাতের মধ্যে রাখা হচ্ছিল। দু’একটি বাদে সব ম্যাচেই নামেন ছয় বা সাত নম্বরে। ফিনিশার হিসাবে করেন ১৮২ রান। গোটা আইপিএলে বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ৫ ওভার। অথচ ২০২৪ সালের আইপিএলে তিনি ৩০৩ রান করেছিলেন। হায়দরাবাদের হয়ে তাঁকে যে ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে, তাতে খুশি নন। তাই দল পরিবর্তনের কথা ভাবছেন নীতীশ। তা ছাড়া হায়দরাবাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারে জায়গা নেই নীতীশের। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ঈশান কিশন, হেনরিক ক্লাসেনেরা পর পর নামেন ব্যাট করতে। এঁদের কাউকে সরিয়ে নীতীশের জায়গা পাওয়া কঠিন ব্যাটার হিসাবে।
আরও পড়ুন:
লর্ডস টেস্টে চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি সিরিজ় থেকে ছিটকে গিয়েছেন নীতীশ। ফিরে এসেছেন দেশে। ফেরার পরি জড়িয়েছেন আইনি জটিলতায়। তাঁরই প্রাক্তন এজেন্ট মামলা করেছে, পাঁচ কোটি না দেওয়ার অভিযোগে। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ় চলার মাঝেই ওই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় নীতীশের। এর পর তিনি ভারতেরই অন্য এক ক্রিকেটারের ম্যানেজারের সঙ্গে চুক্তি সই করেন। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, চুক্তি ভেঙেছেন নীতীশ। পাশাপাশি প্রাপ্য টাকাও দেননি।