সৌরভের বিদায়ে উৎফুল্ল শাস্ত্রী।
১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তাঁরা। প্রাক্তন সতীর্থ রজার বিন্নী এ বার বিসিসিআইয়ের সভাপতি হতে চলায় উচ্ছ্বসিত রবি শাস্ত্রী। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, বিন্নীর খবরে খুশি। তবে শাস্ত্রী আরও বেশি খুশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ায়। প্রসঙ্গত, বর্তমান সভাপতি সৌরভের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্ক কোনও কালেই ভাল নয়। বুধবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম না করে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন শাস্ত্রী, যাতে সৌরভকে ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।
শাস্ত্রী বলেছেন, “সংবাদমাধ্যম থেকেই জানলাম, অতীতে টানা দু’বার কেউই সভাপতি ছিল না। তাই নতুন একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার সুযোগ পেতে চলেছে। জীবনে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। তাই অনেক সময় সরে দাঁড়াতেও হয়। এখন আমি কোনও কাজ করছি মানে তিন বছর পরেও সেটা করে যাব, এমন কোনও কথা নেই। নতুন মানুষ আসবে, দায়িত্ব নেবে, এটাই তো স্বাভাবিক।”
সৌরভ যে আর বোর্ড সভাপতি থাকবেন না, তা কার্যত নিশ্চিত। বিন্নীর সভাপতি হওয়া সময়ের অপেক্ষা। তবে সৌরভ সভাপতি থাকাকালীন শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একাধিক বার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সৌরভ যখন বোর্ড সভাপতি হন, তখন কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। তবে দু’জনের দ্বন্দ্ব কারওরই নজর এড়ায়নি। এমনিতে কোচ হিসাবে শাস্ত্রীর রেকর্ড ভাল হলেও, তাঁকে সরিয়ে রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ করা হয় মূলত সৌরভের ইচ্ছেতেই। দু’জনেই প্রকাশ্যে নাম না করে একে অপরকে খোঁচা দিয়েছেন। সেই ঘটনা আরও এক বার দেখা গেল বুধবার।
এ দিকে, বিন্নীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শাস্ত্রী। বলেছেন, “রজারের নাম উঠে আসায় আমি খুব খুশি। বিশ্বকাপে আমার সতীর্থ ছিল। কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি থেকে এখন বোর্ড সভাপতি হতে চলেছে। তাই প্রশাসক হিসাবে ওর ধারাবাহিকতাও রয়েছে। বিসিসিআইয়ের ইতিহাসে প্রথম বার এক জন বিশ্বকাপজয়ী সভাপতি হতে চলেছে, এটা ভেবেই আমি খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy