বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
সাধারণত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেন করেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে তাঁকে ওপেন করতে দেখা গিয়েছে। ভারতের হয়েও টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেছেন বিরাট। এ বারের আইপিএলে সেই জায়গা ছেড়ে তিনি যদি তিন নম্বরে নেমে যান তাহলে দলের সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের এ বারের দলে একাধিক ভাল ব্যাটার রয়েছেন। কিন্তু তেমন স্পিনার নেই। দলে বিরাট ছাড়াও ফ্যাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন, দীনেশ কার্তিক এবং রজত পাটীদারের মতো ব্যাটারেরা রয়েছেন। কিন্তু আরসিবি-র বোলিং আক্রমণ তেমন শক্তিশালী নয়। বিশেষ করে স্পিন আক্রমণ। সেই সমস্যা মেটানোর জন্যই হয়তো বিরাটকে তিন নম্বরে নামতে হবে।
ওপেনার হিসাবে বিরাট আইপিএল পরীক্ষিত এবং তিনি সাফল্যও পেয়েছেন। ২০১৬ সালে ওপেনার হিসাবে খেলেই আইপিএলে ৯৭৩ রান করেছিলেন। গত বছরও ওপেনার হিসাবে খেলে করেছিলেন ৬৩৯ রান। কিন্তু এ বার তাঁকে তিন নম্বরে নামানো হতে পারে। বিরাট তিন নম্বরে খেললে সুবিধা ভারতীয় দলেরও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে বিরাটকে নিলে তাঁকে তিন নম্বরে খেলতে হবে। কারণ সেখানে রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমন গিলের মতো তিন জন ওপেনার রয়েছেন। তাই বিরাটকে এক ধাপ নীচে খেলালে সুবিধা ভারতের। সুবিধা আরসিবি-রও।
বেঙ্গালুরু দলে তেমন কোনও নাম করা স্পিনার নেই। শ্রীলঙ্কা ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ ছিলেন। কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে আরসিবি। ২৬ ম্যাচে ৩৫টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি বেঙ্গালুরু দলের হয়ে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দেড় কোটি টাকায় কিনে নেয় হাসরঙ্গকে। অনেকেই অবাক হয়েছিলেন ২০২২ সালে ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা স্পিনারকে এই ভাবে আরসিবি ছেড়ে দেওয়ায়।
আরসিবি দলে স্পিনার বলতে রয়েছেন করণ শর্মা, ময়ঙ্ক ডাগার এবং হিমাংশু শর্মা। করণের বয়স ৩৬ বছর। ময়ঙ্ক বাঁহাতি স্পিনার। হিমাংশু এখনও পরীক্ষিত নন। ভারতের বেশির ভাগ মাঠই স্পিন সহায়ক। সেখানে এই তিন স্পিনার নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে আরসিবি। পেস আক্রমণ সামলানোর জন্য দলে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ, আলজারি জোসেফ, যশ দয়াল, লকি ফার্গুসন এবং টম কারেন। আরসিবি কী ভাবে নিজেদের বোলিং আক্রমণ সাজায় সেই দিকে নজর থাকবে সকলের।
আইপিএলে চার জনের বেশি বিদেশি খেলানো যায় না। আরসিবি-র তিন জন বিদেশি প্রায় নিশ্চিত। অধিনায়ক ফ্যাফের সঙ্গে গ্রিন এবং ম্যাক্সওয়েল খেলতে পারেন। চতুর্থ বিদেশি বাছতে গিয়েই সমস্যা হতে পারে আরসিবি-র। যদি কোনও বিদেশি পেসারকে খেলায় তাহলে বাড়তি স্পিনার খেলাতে পারবে না তারা। কিন্তু আরসিবি যদি উইল জ্যাকসকে খেলায় তাহলে এক জন বাড়তি স্পিনার খেলাতে পারবে তারা।
ইংল্যান্ডের জ্যাকস স্পিন বল করতে পারেন। তিনি আবার ওপেনার হিসাবেও খেলতে পারেন। ফলে ডুপ্লেসির এবং জ্যাকস যদি ওপেন করেন তাহলে বিরাট খেলবেন তিন নম্বরে। চার নম্বরে থাকবেন ম্যাক্সওয়েল। তিনিও স্পিন বল করতে পারেন। সেই সঙ্গে পেসার অলরাউন্ডার গ্রিন থাকবেন। রজত পাটীদার থাকবেন। উইকেটরক্ষক হিসাবে থাকবেন কার্তিক। চার জন বোলার খেলাতে পারবে বেঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে দলে তিন জন অলরাউন্ডারও থাকবেন। ফলে সাত জন বোলার নিয়ে খেলার সুযোগ পাবেন বিরাটেরা। সেটা করতে হলে বিরাটকে ওপেনারের জায়গা ছেড়ে এক ধাপ নীচে নামতে হবে।
জ্যাকস টি-টোয়েন্টিতে ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৪১৩০ রান। তিনটি শতরান রয়েছে তাঁর। গড় ২৯.৭১ হলেও স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৬৬। শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে দিতে পারেন তিনি। বাকি কাজ করার জন্য তো বিরাটেরা থাকছেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy