স্মৃতি মন্ধানা। —ফাইল চিত্র।
১৬ বছর ধরে চেষ্টা করেও আইপিএল জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু গত বছর থেকে শুরু হওয়া মেয়েদের আইপিএল (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) জিতে নিল আরসিবি। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দিল তারা। দাদাদের আগে ট্রফি জিতে নিলেন দিদিরা। বাংলার রিচা ঘোষ চার মেরে ম্যাচ জেতালেন।
রবিবার প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি। শেফালি বর্মা যে গতিতে শুরু করেছিলেন, তাতে বড় রান হবে বলে মনে হচ্ছিল। ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে নিয়েছিল দিল্লি। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন সোফি মলিনক্স। ওই ওভারেই খেলা ঘুরে যায়। প্রথম বলে শেফালি আউট হয়ে যান। তৃতীয় বলে আউট জেমাইমা রদ্রিগেজ। চতুর্থ বলে বোল্ড এলিস ক্যাপ্সি। এক ওভারে তিন উইকেট তুলে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন মলিনক্স।
ওই ধাক্কা সামলাতে পারেনি দিল্লি। তার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানও তুলতে পারল না বেশি। ১১৩ রানে অল আউট হয়ে গেল দিল্লি। সোফি ছাড়াও নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২ উইকেট নেন আশা সোভানা। একটি রান আউট হয়। চওড়া হয় আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানার হাসি।
অল্প রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেও আরসিবি-কে লড়তে হল শেষ ওভার পর্যন্ত। মন্ধানা (৩১) এবং সোফি ডিভাইন (৩২) মিলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। হাতে ৮ উইকেট থাকলেও বড় শট খেলতে পারলেন না এলিস পেরি এবং রিচা ঘোষ। শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন তাঁরা ম্যাচটিকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবি-র প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেন মন্ধানারা।
এ বারের প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন বাংলার রিচা। ১০ ম্যাচে ২৫৭ রান করলেন তিনি। প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান যদিও করেন এলিস পেরি। ৯ ম্যাচে ৩৪৭ রান করেন তিনি। স্মৃতি মন্ধানা ১০ ম্যাচে করেন ৩০০ রান। তাঁরা সকলেই আরসিবি-র ক্রিকেটার। তাঁদের দাপটেই ট্রফি জিতল ব্যাঙ্গালোর। শুধু ব্যাটে নয়, বল হাতেও দাপট আরসিবি-র। শ্রেয়াঙ্কা নেন ১৩ উইকেট। ২১ বছরের তরুণ স্পিনার ফাইনালেই নেন ৪ উইকেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy