সচিন তেন্ডুলকর। — ফাইল চিত্র।
বিশ্ব তামাকবিরোধী দিবসে তাঁর একটি পোস্ট। সেটাই বিতর্ক তৈরি করল সমাজমাধ্যমে। সচিন তেন্ডুলকরের একটি পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছেন, প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, বীরেন্দ্র সহবাগদের একহাত নিয়েছেন তিনি।
সচিন সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন শুরুর সময় আমার বাবা একটা সামান্য, তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন। কখনও যেন তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার না করি। আজ পর্যন্ত সেটা মেনে চলেছি। আপনারাও সেটা করতে পারেন। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তামাকের বদলে সুন্দর স্বাস্থ্যকে বেছে নিন।”
সচিন কারও নাম করেননি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত যে গাওস্করদের দিকে, তা প্রমাণিত। বিশ্বকাপ এবং আইপিএল চলার সময় গাওস্কর, কপিল, সহবাগ এবং ক্রিস গেল একটি সংস্থার তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার করেছিলেন। বার বার টিভিতে তা দেখানো হয়েছে। গাওস্কর, কপিলের মতো ক্রিকেটার কী করে এ কাজ করতে পারেন, এটা ভেবে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। সচিনও যে তাতে খুশি নন সেটা বোঝা গিয়েছে।
সম্প্রতি তামাকবিরোধী একটি সংস্থার তরফে এক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, গত বছর ক্রিকেট বিশ্বকাপের শেষ ১৭টি ম্যাচে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের সংখ্যা ছিল ৪০ শতাংশ। সেগুলি মূলত ধোঁয়াহীন তামাক, অর্থাৎ গুটখা, পান মশলা জাতীয় দ্রব্য। ৩৯.৯ শতাংশ বিজ্ঞাপন ভারতের ম্যাচে এবং ৩৭.৮ শতাংশ বিজ্ঞাপন এশিয়ার বাকি দেশগুলির ম্যাচে দেখানো হয়েছে।
এর ফলে শুধু ভারত নয়, প্রতিবেশী দেশগুলিতেও তামাকজাত দ্রব্য নেওয়া বাড়তে পারে বলে সংস্থাটির ধারণা। কারণ ওই নির্দিষ্ট চ্যানেলই এশিয়ার বাকি দেশগুলিতে সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দাবি, বিশ্বের ৭০টি দেশের ৩৫ কোটি মানুষ ধোঁয়াহীন তামাক গ্রহণ করেন। তার মধ্যে ভারতে রয়েছেন ২০ কোটি মানুষ। মৃত্যুর হারও ভারতেই সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি পণ্যের প্রচার করে। সম্প্রতি সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy