রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চেয়ে দলকে বার্তা দিয়েছেন, এই খবর প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যেই। জল্পনার মাঝেই রাজস্থান নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জু স্যামসন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা রাজস্থানের উদ্দেশে ‘বিদায়বার্তা’ বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সাক্ষাৎকারে গৌতম গম্ভীরেরও প্রশংসা করেছেন সঞ্জু।
অশ্বিনের পডকাস্ট ‘কুট্টি স্টোরিজ়’-এ তাঁর জীবনে রাজস্থানের অবদান নিয়ে কথা বলেছেন সঞ্জু। তাঁর কথায়, “রাজস্থানই আমার কাছে গোটা বিশ্বের সমান। কেরলের গ্রাম থেকে উঠে আসা একটা ছোট ছেলে নিজের প্রতিভা দেখাতে মরিয়া ছিল। রাহুল (দ্রাবিড়) স্যর এবং মনোজ বাদালে স্যর আমাকে সেই মঞ্চটা দিয়েছেন। গোটা বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ দিয়েছেন যে আমি কী। তখন ওরা সব সময় আমার আস্থা রেখেছেন। রাজস্থানের সঙ্গে এই যাত্রাপথ খুবই সুন্দর। এই দলের সদস্য থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।”
সঞ্জুর কথায় শেষের কয়েকটা বাক্য ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তা হলে কি এখন আর সঞ্জুর উপরে রাজস্থানের আস্থা নেই। দ্রাবিড়ের সঙ্গে সম্পর্কেও কি ফাটল ধরেছে? যদিও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ভারতের এখনকার কোচ গম্ভীরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সঞ্জু। জাতীয় দল থেকে ঘন ঘন বাদ পড়তে পড়তে এক সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় গম্ভীর যে আস্থা দেখিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ সঞ্জু।
ভারতের ক্রিকেটারের কথায়, “গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অনেক কিছু বদলে গিয়েছিল। দলীপে খেলার সময় বিপক্ষ দলে থাকা সূর্যকুমার যাদব আমার কাছে এসে বলেছিল, ‘ভাই, তোমার জন্য দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করে রয়েছে। সামনের সাতটা ম্যাচেই তোমাকে ওপেনার হিসাবে খেলাতে চাই’। খোদ অধিনায়কের মুখ থেকে এ কথা শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। খুব ভাল লেগেছিল।”
আরও পড়ুন:
সঞ্জুর সংযোজন, “শ্রীলঙ্কায় দুটো ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। সাজঘরে এক দিন বিমর্ষ হয়ে বসে থাকতে দেখে গৌতম ভাই এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করেছিল, কী হয়েছে? আমি রান না পাওয়ার হতাশার কথা বলেছিলাম।”
এর পরেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। সঞ্জু নিজেই বলেছেন, “গৌতম ভাই বলেছিল, ‘কী হয়েছে তাতে? যদি ২১ বার শূন্য রানে আউট হও, তা হলেই তোমাকে বাদ দেব’। অধিনায়ক এবং কোচের এই আস্থা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল।” ওই ঘটনার পর টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ ম্যাচে ব্যবধানে তিনটে শতরান করেন সঞ্জু।