গত তিন বছর ধরেই আইপিএলে সে ভাবে বল করেন না তিনি। এ বছরের আইপিএলে মাত্র দু’ওভার বল করেছেন। ফলে ভারতের দলে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসাবে কেন তাঁকে খেলানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আমিরশাহির বিরুদ্ধে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শিবম দুবে। কী ভাবে বোলিংয়ে শান দিয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
আইপিএলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের কারণে ফিল্ডিংয়ের সময় তুলে নেওয়া হত শিবমকে। ফলে বল করার সুযোগ পেতেন না। ভারতের হয়ে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হিসাবেই খেলতে চান শিবম। জানিয়েছেন, কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের সাহায্যেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন।
বুধবার ম্যাচের পর শিবম বলেছেন, “ইংল্যান্ড সিরিজ়ে দলে ফেরার পর থেকেই মর্নি আমার পিছনে পড়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আমাকে অফস্টাম্পের বাইরে একটা নির্দিষ্ট লাইনে বল করতে বলেছে। স্লোয়ার ডেলিভারি কী ভাবে করতে হবে সেটাও শিখিয়েছে। আমার রান-আপেও ছোট বদল এনেছে। কোচ এবং অধিনায়ক আগেই জানিয়েছিলেন, এশিয়া কাপে আমার বোলিং কাজে লাগবে।”
ভারতের অন্য কোনও দলে সুযোগ পান না শিবম। তাই মাঝের দু’টি মাসে পরিশ্রম করে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শিবমের কথায়, “গত দুটো মাসে নিজের ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেছি। ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে বলতে পারি, মাঝের ওভারগুলোয় একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকবে আমার। গত কয়েক বছরে বোলারেরা শর্ট বল করে আমায় সমস্যায় ফেলেছে। তাই শটের বৈচিত্র বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছি। প্রতিযোগিতা যত এগোবে তত পিচ মন্থর হবে। তখন আমার স্লোয়ার কাজে লাগবে।”
ভারতীয় দলে শিবমকে বার বারই তুলনা করা হয় হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গে। তবে হার্দিকের সঙ্গে যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিবম। বলেছেন, “হার্দিক আমার ভাইয়ের মতো। ওর থেকে অনেক কিছু শিখি। কারণ আমার থেকে বেশি আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর। তুলনার কথা কখনওই ভাবিনি। আমার লক্ষ্য ওর থেকে যতটা বেশি সম্ভব শেখা।”
আরও পড়ুন:
আগামী রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তবে এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি মাতামাতিতে রাজি নন শিবম। বলেছেন, “আমিরশাহি হোক বা পাকিস্তান, গৌতি ভাই যা বলবেন আমি সেটাই করব। দেশের হয়ে খেললে ভাল কিছু করার ইচ্ছা সকলের মধ্যেই থাকে।”