কেউ অর্ধশতরান করতে পারেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে ভারতের ব্যাটারেরা যে ভাবে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ব্যাট করেছেন তা খুশি করেছে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। বোলারদের জন্যও তিনি খুশি। এ দিকে ম্যাচের সেরা অক্ষর পটেল জানিয়েছেন, সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামলেও তাঁর কোনও দুঃখ নেই।
ম্যাচের পর সূর্যকুমার বলেছেন, “সব ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিতে চাই। বিশেষ করে অভিষেক এবং শুভমনকে। যে ভাবে বুদ্ধি করে ওরা পাওয়ার প্লে-তে খেলেছে তা প্রশংসনীয়। ওরা বুঝে গিয়েছিল এই পিচে ২০০ উঠবে না। পরে নেমে বাকিরা অবদান রেখেছে। ব্যাটিংয়ে একটা দাপুটে পারফরম্যান্স দেখতে পেলাম।”
বোলারদের নিয়ে সূর্যের বক্তব্য, “ওদের কাছে স্পষ্ট বার্তা ছিল। আমার আর গৌতি ভাইয়ের মত সব সময়েই এক থাকে। বোলারেরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে শিশির পড়ার সময়ে। যে ভাবে বল করেছে তা অসাধারণ।”
ম্যাচে মাত্র দেড় ওভার বল করে তিন উইকেট নিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দু’টি উইকেট পেয়েছেন শিবম দুবেও। এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে সূর্যকুমার বলেছেন, “দু’-তিন ওভার বল করে দিতে পারে এমন বোলার দলে থাকা সব সময়েই ভাল। কেউ কেউ চার ওভারও করে দেয়। সেটা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে। কোনও দিন ওয়াশিংটন চার ওভার বল করবে, কোনও দিন শিবম বা অর্শদীপ কম বল করবে। এই বোঝাপড়াটা আমাদের মধ্যে রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, সকলেই দলকে জেতাতে তৈরি।”
এ দিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১১ বলে ২১ রান করেন অক্ষর। বল হাতে দু’টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। আর একটু আগে নামলে বেশি রান করতে পারতেন কি? অক্ষরের জবাব, “সাতে ব্যাট করতে নামায় আমার সুবিধাই হয়েছে। বাকিদের কথা শুনে পিচের চরিত্র বুঝে নিতে পেরেছি। বাকিরা বলছিল বল ব্যাটে ভাল ভাবে আসছে না। অসমান বাউন্স রয়েছে। মন্থর উইকেট। তা নিজের ভারসাম্য ধরে রেখে শট খেলেছি।”
অক্ষরের সংযোজন, “দল যেখানে চায় আমায় নামাতে পারে। ওটাই হবে আমার পছন্দের ব্যাটিং পজিশন। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারলে সেটাই আমার সেরা ম্যাচ। আমি মনে করি না যে ছয়ে বা সাতে নামলেই ভাল খেলতে পারতাম। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী মাঠে নামতেই ভালবাসি।”
আরও পড়ুন:
বল হাতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন অক্ষরই। তাঁর কথায়, “ব্যাটারের শক্তির কথা মাথায় রেখে বল করছিলাম। নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। ব্যাটারেরা তুলে খেলতে চাইলে তখন মিডল স্টাম্পে বল করি। গুড লেংথ, ৫-৬ সেন্টিমিটারের লেংথে বল করতে পারি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলে তখন ফুল লেংথে বল করি। তাই বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য নিজেকে সব সময় তৈরি রাখি।”