শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতেছে ভারত। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে হবে বিশ্বকাপ। তবে বিশ্বকাপে ভারতের দুই ওপেনার কারা হবেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। সরাসরি তিনি নাম বলেননি। সিরিজ় জয়ের পর ইঙ্গিত দিয়েছেন, অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলই ভবিষ্যতে ভারতের দুই ওপেনার হতে চলেছেন। অভিষেক জানালেন, তাঁর সঙ্গে শুভমনের জুটি এখন আগুন-আগুন। অর্থাৎ সঞ্জু স্যামসন বা যশস্বী জয়সওয়াল, কাউকেই ওপেনার হিসাবে হচ্ছে না। পাশাপাশি এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তানকে খোঁটা দিতেও ছাড়েননি সূর্য। সিরিজ় সেরার পুরস্কার নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন অভিষেকও। তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় অতীতের কথা, যখন তিনি শুভমনের সঙ্গে জুটিকে ‘আগুন এবং বরফ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এ দিন অভিষেক বলেন, “আপনার আগুন এবং বরফ নই, আমরা আগুন এবং আগুন। আজ কোনও বরফ নয়, দু’জনের ব্যাটিংয়েই আগুন ছিল।”
শুভমনের সঙ্গে জুটি নিয়ে কথা বলেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আমি জানি শুভমন কেমন খেলে, কোন বোলারদের আক্রমণ করে। ও-ও আমার ব্যাপারে সেটা জানে। মাঝে মাঝে আমাকে এসে বলে, ‘কয়েকটা বল অপেক্ষা করে তার পর ওই শটটা খেল’। আমরা ছোটবেলা থেকে একে অপরের রুমমেট। তাই বোঝাপড়া তো থাকবেই।”
সূর্য জানান, অভিষেক এবং শুভমন একসঙ্গে ব্যাট করতে নামলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তারা যে নিজেদের তৈরি করে ফেলছেন, সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি।
শনিবার ব্রিসবেনে ৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৫২ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যায়। সাংবাদিক বৈঠকে এসে সূর্যকুমার বলেছেন, “অভিষেক এবং শুভমন একসঙ্গে ব্যাট করতে নামলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটে।”
এই দুই ওপেনারকে ‘অভি-মন’ জুটি হিসাবে অভিহিত করে সূর্যকুমার আরও বলেন, “যদি উইকেট কঠিন হয় শেষ ম্যাচের (গোল্ড কোস্ট) মতো, তা হলে ওরা পরিস্থিতি খুব ভাল করে বুঝে নিতে পারে। ঝুঁকি না নিয়েই পাওয়ার প্লে-তে খেলেছে ওরা। তার পরেও ভাল ব্যাট করেছে। আসলে ক্রিকেটারেরা অভিজ্ঞতা থেকেই শেখে। ওরা একে অপরের সঙ্গে ভাল কথা বলে। দু’জনেই এখনও শিখছে।”
সূর্যকুমারের মতে, মানুষ যে ভাবে টি-টোয়েন্টিকে দ্রুতগতির খেলা হিসাবে থাকে, তা আদৌ ততটা গতিশীল নয়। ব্যাটারের হাতে একটু হলেও সময় থাকে। অর্থাৎ পরোক্ষে শুভমনের স্ট্রাইক রেট নিয়েই কথা বলেছেন ভারতের অধিনায়ক। সূর্য বলেছেন, “আপনি যা ভাবেন তার চেয়ে বেশি সময় আপনার হাতে থাকে। ১২০টা বল রয়েছে। আপনি যদি ৪-৫টা বল বাড়তি নেন তা হলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”
আরও পড়ুন:
সাংবাদিক বৈঠকে ট্রফি হাতেই এসেছিলেন সূর্যকুমার। তিনি পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে বলেন, “অবশেষে একটা ট্রফি ছুঁতে পেরে ভাল লাগছে। সিরিজ় জয়ের পর ট্রফি নিজের হাতে নিয়ে অনুভূতিটা ভাল করে বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলা দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ফলে আরও একটা ট্রফি ঘরে এসেছে।”
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ জেতার পর পাকিস্তানের মন্ত্রী তথা এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি নেননি সূর্যকুমারেরা। সেই ট্রফি এখনও হাতে পাননি তাঁরা। সেটা নিয়েই খোঁচা দিয়েছেন।