থামছেই না বৃষ্টি। হতাশ আইরিশ ফুটবলাররা। ছবি: আইসিসি।
বৃষ্টির জন্য আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের একটি বলও খেলা হল না। খেলা না হওয়ায় দু’দলই এক পয়েন্ট করে পেল। বেশি ক্ষতি হল মহম্মদ নবিদের। কারণ, বৃষ্টির জন্য আফগানিস্তান-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচও হয়নি। যদিও বৃষ্টি ক্রিকেটের উত্তাপ কমাতে পারছে না।
ইংল্যান্ডকে হারানো আয়ারল্যান্ড উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তিন ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৩। ইংল্যান্ডকে হারালেও আইরিশদের হারতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার কাছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ২ পয়েন্ট ঘরে তোলা লক্ষ্য ছিল অ্যান্ডি বলবির্নিদের। পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ার পর আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা ভাল ক্রিকেট খেলছি। ম্যাচ না হওয়াটা অত্যন্ত হতাশার। আবহাওয়া এ রকম হলে কী আর করা যাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলোয় নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে।’’
জস বাটলাররা কি আপনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন? বলবির্নির মুখে শোনা গিয়েছে ইংল্যান্ডের সমালোচনা। ক্ষোভের সঙ্গে আইরিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ওরা (ইংল্যান্ড) জিতলে নানা রকম বার্তা পাঠায়। কিন্তু ওরা হারলে একটা অভিনন্দনও আমরা পাই না। আশা করি ভবিষ্যতে ওদের থেকেও আমরা সমর্থন পাব।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। সেই ম্যাচও হেরেছে ইংল্যান্ডের কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ আফগান শিবির। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ের জয়ের পর নবিরাও ভাল কিছুর আশা করছেন। আফগানিস্তানের অধিনায়ক নবি বলেছেন, ‘‘জ়িম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছি আমরা। জ়িম্বাবোয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে পাকিস্তানকে হারাল। ওদের লড়াই দেখে আমরা অনুপ্রাণিত। বিশ্বকাপের মঞ্চে সব দলই নিজেদের সেরাটা দিতে চায়।’’
অন্য দিকে, তিন ম্যাচে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। তাদের খেলা বাকি শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। নবি বলেছেন, ‘‘দলের সকলেই খুব হতাশ। আমরা খেলার সুযোগই পাচ্ছি না। মেলবোর্নে আমি আর রশিদ খান আগে খেলেছি। দলের বাকিরা প্রথম বার মেলবোর্নে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিল। কিন্তু বৃষ্টি সেই সুযোগ কেড়ে নিল। পরের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। গ্রুপের বাকি দুটো ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। ভাল প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলাম আমরা। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি সবাই মিলে। প্রথমে ভাল রান তুলতে পারলে আমাদের স্পিনাররা ম্যাচ জেতাতে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে আমি আর রশিদ বিগ ব্যাশ খেলছি। এখানকার উইকেট, আবহাওয়ার সঙ্গে আমরা পরিচিত। নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সতীর্থদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy