বাবার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে নিজের দায়িত্ব পালন থেকে সরে আসেননি বিরাট কোহলি। বাবাকে হারানোর পরের দিনই নেমে পড়েছিলেন ক্রিকেট মাঠে। দলকে বাঁচিয়েছিলেন সাহসী ইনিংস খেলে। রবিবার পিতৃদিবসে সেই বাবার একটা শিক্ষার কথা উল্লেখ করলেন কোহলি, যা তিনি মনে রাখবেন আজীবন। এ দিনই অনুষ্কা শর্মা প্রকাশ্যে এনেছেন বাবার উদ্দেশে ছোট্ট ভামিকার লেখা একটি চিঠি।
এ দিন সন্ধ্যায় বাবা প্রেম সিংহ কোহলির সঙ্গে নিজের ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেন কোহলি। সঙ্গে লেখেন, “উনি আমাকে শিখিয়েছিলেন জীবনে কোনও দিন শর্টকাট বা প্রভাবের উপর নির্ভর না করতে। কারণ আপনার মধ্যে সত্যিই প্রতিভা থাকলে, কঠোর পরিশ্রমেই সেটা বোঝা যাবে। আপনার মধ্যে যদি পরিশ্রম করার ইচ্ছা না থাকলে, তা হলে আপনি হয়তো সেটার যোগ্যই নন।”
কোহলির সংযোজন, “আমাকে এক বার সহজ পথ বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ঠান্ডা মাথায় বলেছিলেন, ‘যদি তুমি ভাল হও, তা হলে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নেবে। যদি ভাল না হও তা হলে আগে থেকেই সেটা জেনে যাওয়া ভাল’। আমি কী ভাবে বাঁচব, কাজ করব এবং গোটা বিশ্বের সামনে সেটা তুলে ধরব, তা ওই একটা মুহূর্তই শিখিয়ে দিয়েছিল। পিতৃদিবসে সেই বাবাদের শুভেচ্ছা, যাঁদের নীরব শক্তি আমাদের জীবনের সঠিক দিক বেছে নিতে সাহায্য করেছে।”
এ দিন কোহলির স্ত্রী অনুষ্কা সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। নিজের বাবার ছবির সঙ্গে কোহলিকে লেখা মেয়ে ভামিকার একটি চিঠিও পোস্ট করেন। অনুষ্কা লেখেন, “প্রথম যে মানুষটিকে আমি ভালবেসেছি এবং প্রথম যে মানুষটিকে আমার সন্তান ভালবেসেছে। পিতৃদিবসে সকল বাবাকে শুভেচ্ছা।”
আরও পড়ুন:
তবে নজর কেড়েছে ভামিকার চিঠি। কোহলির উদ্দেশে ভামিকা লিখেছে, “ও আমার ভাইয়ের মতো। খুব মজা করে। আমাকে সুড়সুড়ি দেয়। আমি ওর সঙ্গে রূপচর্চা করি। আমি ওকে খুব ভালবাসি। ও-ও আমাকে খুব ভালবাসে।” ভামিকার সেই চিঠি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।