বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
লড়াইয়ের শুরুটা ২০০৮ সালে। নিজের নিজের দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় থেকেই মাঠে আগ্রাসন দেখাতেন বিরাট কোহলি ও রুবেল হোসেন। ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯, তিনটি বিশ্বকাপেও সেই লড়াই দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ বার আর হবে না। ভারতীয় দলে বিরাট থাকলেও বাংলাদেশের দলে নেই ডান হাতি পেসার।
ছোটদের দল থেকে প্রায় একই সময়ে জাতীয় দলে সুযোগ পান বিরাট ও রুবেল। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ঢাকার মাঠে মুখোমুখি হন তাঁরা। সেই ম্যাচে বিরাটকে বল করে ফিরতি শট নিজেই ধরেন রুবেল। তার পরে বিরাটের দিকে ছোড়ার ভঙ্গি করেন তিনি। বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি বিরাট। তিনি পাল্টা কিছু বলেন। কিন্তু কেন এই লড়াই শুরু হয়েছিল দুই ক্রিকেটারের মধ্যে?
এই প্রসঙ্গে রুবেল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় বিরাট আমাদের ব্যাটারদের স্লেজ করছিল। আমার সেটা ভাল লাগেনি। তখনই ওর সঙ্গে আমার এক বার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। আম্পায়ারকে মধ্যস্থতা করতে হয়েছিল। তার পর থেকে বার বার ওর সঙ্গে আমার মাঠে আমার লড়াই হয়েছে।’’
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আবার শেষ হাসি হেসেছিলেন রুবেল। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মারতে গিয়ে আউট হন বিরাট। তিনি যখন ফিরছেন তখন রুবেলকে বিশেষ ধরনের উল্লাস করতে দেখা যায়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও লড়াই হয়েছিল। কিন্তু এ বার আর রুবেলের সঙ্গে বিরাটের লড়াই দেখা যাবে না। কারণ, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের দলে আর সুযোগ পান না রুবেল।
বিরাটকে দু’বার আউট করেছেন রুবেল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগে ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে রুবেলের বলে আউট হন বিরাট। রুবেলের বিরুদ্ধে ৬৯.৫০ গড়ে ব্যাট করেছেন বিরাট, যা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু এ বার আর সেই লড়াই দেখা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy