জয়পুরের মাঠে বৈভব সূর্যবংশী শতরান করতেই উঠে দাঁড়ালেন রাহুল দ্রাবিড়। আইপিএলের শুরুর আগে পায়ে চোট পেয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের কোচ। হুইলচেয়ারে করেই মাঠে ঘুরতে দেখা যেত তাঁকে। সোমবার সেই দৃশ্য দেখা যায়নি। বৈভব শতরান করার পর উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিলেন তিনি। দাঁড়ানোর সময় একটু হোঁচট খেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রের সাফল্যের পর আর বসে থাকতে পারেননি।
সোমবার মহম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রশিদ খানের মতো বোলারকে অনায়াসে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিল বৈভব। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিনের একটি ছেলের পক্ষে কী ভাবে এমন বোলারদের শাসন করা সম্ভব! বৈভব বাস্তবে তা করে দেখাল। এর নেপথ্যে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ।
অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছিল বৈভব। সেই দলের কোচ ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। একটি ম্যাচে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যায়। কেঁদে ফেলেছিল সাজঘরে ফিরে। বৈভবের কোচ মনোজ ওঝা বলেন, “একটা ম্যাচে বৈভব ৩৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। সাজঘরে ফিরে কাঁদতে শুরু করে দেয়। লক্ষ্মণ সেটা দেখতে পেয়েছিলেন। উনি এসে বৈভবকে বলেছিলেন, ‘আমরা এখানে শুধু রান দেখি না। আমরা দেখি কোন কোন ক্রিকেটার বড় রান করতে পারে।’ লক্ষ্মণ ওর মধ্যে কিছু একটা দেখেছিলেন। সেই কারণে বিসিসিআই-ও বৈভবের পাশে থেকেছে।”
আরও পড়ুন:
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস বৈভবকে কিনে নেয় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায়। সেই দলের কোচ দ্রাবিড়। রাজস্থান বৈভবকে কেনার পর থেকে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে নেন দ্রাবিড়। বৈভবকে শুরুর দিকে খেলায়নি রাজস্থান। সেই সময় তাকে না খেলানোর কারণ জানিয়েছিলেন দ্রাবিড়। তিনি বলেছিলেন, “খুব ভাল অনুশীলন করছে। দুর্দান্ত প্রতিভা। আমরা ওকে তৈরি করছি। দলের সকলের সঙ্গে অনুশীলন করে অভ্যস্ত হোক। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিক। এগুলো বৈভবের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। হঠাৎ দর্শকদের সামনে ফেলে দেওয়ার আগে ওকে তৈরি করা প্রয়োজন। সুযোগ পেলে ও যাতে ভয় না পেয়ে যায়।”
দ্রাবিড় যে বৈভবকে তৈরি করে দিয়েছেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। জয়পুরের মাঠে ১৪ বছরের বৈভবের ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস তা প্রমাণ করে দিয়েছে।