গ্রুপ পর্বে তেমন কিছু না হলেও এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে উত্তাপ ছড়িয়েছে মাঠে। ব্যাট-বলের লড়াইয়ের পাশাপাশি কথার লড়াইও হয়েছে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই ঝগড়া হয় ভারতের শুভমন গিল ও পাকিস্তানের হ্যারিস রউফের মধ্যে। সেই ঝগড়ার মাঝে হাজির হন রিঙ্কু। প্রথম একাদশে না থাকলেও মাঠে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন অভিষেক শর্মা। শাহিনকে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। শাহিনও তাঁকে পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর লাইন-লেংথ ঠিক হচ্ছিল না। পাওয়ার প্লে চলাকালীন বিতণ্ডা বাড়তে থাকে। তাতে ঢুকে পড়েন শুভমন ও রউফও।
শাহিনের দ্বিতীয় ওভারে পর পর চার মারেন শুভমন। তার পর শাহিনের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলেন তিনি। স্টাম্প মাইকে কথা ধরা পড়েনি। তবে শুভমনের ঠোঁটের নড়াচড়া দেখে বোঝা গিয়েছে শাহিনকে তিনি বলেছেন, “যাও, বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে আনো।”
আরও পড়ুন:
চতুর্থ ওভারে রউফের বলে বড় শট খেলেন শুভমন ও অভিষেক দু’জনেই। ভারতীয় ব্যাটারদের হাতে মার খেয়ে রউফ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি কিছু একটা বলেন। জবাব দেন শুভমন ও অভিষেকও। পিচের মধ্যেই ঝামেলা বেধে যায়। আম্পায়ার ক্রিকেটারদের সেখান থেকে সরতে বলেন। সেটি ছিল ওভারের শেষ বল। ফলে বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করে সম্প্রচারকারী চ্যানেল। তার পরে কী ঘটেছিল তারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, আম্পায়ার ক্রিকেটারদের সরানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা কথা-কাটাকাটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই জল হাতে মাঠে ঢোকেন রিঙ্কু। তিনি সোজা শুভমনের দিকে দৌড়ে যান। শুভমনকে হাত ধরে টেনে সরিয়ে নিয়ে যান কেকেআরের ক্রিকেটার। তার পরে অভিষেক ও শুভমনকে কিছু বোঝাচ্ছিলেন তিনি। হতে পারে ডাগ আউট থেকে তাঁকে কিছু নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। সেই নির্দেশই দুই সতীর্থকে বুঝিয়ে বলছিলেন রিঙ্কু। তাতে কাজও হয়। কারণ, তার পর আর ভারতীয় ব্যাটারেরা মুখের লড়াই করেননি। ব্যাটে জবাব দিয়েছেন তাঁরা।