Advertisement
E-Paper

পাশে কেউ নেই, অচেনা লোকেরা খাবার দিয়ে যান, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন যুবরাজ সিংহের বাবা যোগরাজ

ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের বাবা যোগরাজ সিংহ শোনালেন নিজের অসহায় জীবনের কথা। জানিয়েছেন, এখন একাকিত্বেই দিন কাটছে তাঁর। কেউ নেই সঙ্গে। এতটাই খারাপ অবস্থা যে, অচেনা লোকদের থেকে খাবার নিয়ে খান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৭
cricket

তখন সুখের সময়। বাবা যোগরাজের (ডান দিকে) সঙ্গে যুবরাজ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

অতীতে বার বার বিতর্কিত কথা বলার জন্য শিরোনামে এসেছেন তিনি। এ বার যোগরাজ সিংহ জানালেন নিজের অসহায় জীবনের কথা। ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের বাবা জানিয়েছেন, এখন একাকিত্বেই দিন কাটছে তাঁর। কেউ নেই সঙ্গে। এতটাই খারাপ অবস্থা যে, অচেনা লোকদের থেকে খাবার নিয়ে খান। মৃত্যুর দিন গুনছেন যুবরাজের বাবা।

এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে এখন কিছুই আর পড়ে নেই। যোগরাজের কথায়, “আমি নিজের মা, সন্তান, পূত্রবধূ, নাতি-নাতনি, পরিবারের সকলকে ভালবাসি। কিন্তু কারও থেকে কখনও কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য তৈরি। আমার জীবন সম্পূর্ণ। যে দিন ঈশ্বর চান আমাকে নিজের কাছে ডেকে নিতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে ঋণী থাকব।”

যোগরাজের প্রথম বিয়ে হয়েছিল শবনমের সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তান যুবরাজ এবং জ়োরাভর। যুবরাজ অতীতে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাবা-মায়ের এতই ঝগড়া হত যে, তিনি চাইতেন তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যাক। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়। এর পর যোগরাজ বিয়ে করেন নীনা বুন্দেলকে। তাঁদের এক ছেলে ভিক্টর এবং মেয়ে আমনজ্যোৎ রয়েছে।

যোগরাজ বলেছেন, “রোজ বিকেলে একা একা বসে থাকি। ঘরে কেউ থাকে না। অচেনা লোকের খাবারের অপেক্ষায় থাকি। কেউ কেউ খাবার দিয়ে যায়। কাউকে নিয়ে চিন্তা করি না। খিদে পেলে অনেকেই খাবার দিয়ে যায়। বাড়িতে রান্নার লোক আছে। ওরা খাবার করে নিজেদের মতো বাড়ি চলে যায়।”

শবনমের সঙ্গে বিচ্ছেদের ফলেই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন যোগরাজ। তাঁর কথায়, “যুবরাজ এবং ওর মায়ের ছেড়ে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল। যার জন্য গোটা জীবন দিয়েছি সে এ ভাবে ছেড়ে চলে যেতে পারে! এ ভাবে অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করেছি, কী এমন করলাম যে সবাই ছেড়ে গেল? কিছু ভুল করেছি ঠিকই। কিন্তু আমি নির্দোষ। কারও খারাপ করিনি কোনও দিন।”

Yuvraj Singh yograj singh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy