সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার ক্লাব তাঁবুতে নিজেদের বক্তব্য রাখলেন ইস্টবেঙ্গলের ৫ বিতর্কিত ফুটবলার। এমনিতেই গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মেহতাবদের রেল ভ্রমণ নিয়ে চরম নাটকীয়তায় সরগরম ভারতীয় ফুটবল সার্কিট। এরই মাঝে আঙুল উঠতে শুরু করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষের উপরেও। এই সবের মধ্যে ক্লাবের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এবং নিজেদের দিক থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে সঠিক বার্তা দিতে ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মেহতাব হোসেন, শুভাশিস রায়চৌধুরী, নারায়ণ দাস, অর্ণব মণ্ডল এবং মহম্মদ রফিক। উপস্থিত ছিলেন গোলরক্ষক কোচ অভিজিৎ মণ্ডলও।
এ দিন প্রথমে ক্লাব তাঁবুতে এসে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের কাছে ক্ষমা চান মেহতাবরা। তার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। মেহতাব বলেন, ‘‘ক্লাবের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বাস ভাড়া করা হয়েছিল, পরের দিন বিমানের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়। কিন্তু ম্যাচ হারের গ্লানি নিয়ে আমরা আর থাকতে পারিনি। যত দ্রুত সম্ভব কটক ছাড়তে চেয়েছিলাম।’’ অর্ণবের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এত পজিটিভ খেলেও ম্যাচ জিততে পারিনি। যে ম্যাচ ৩-৪ গোলে জেতার কথা সেই ম্যাচ হেরেছি ২ গোলে। আমাদের কারও পক্ষেই এই হার মানা সম্ভব ছিল না। ওই রাতে ঘুমাতেও পারেনি কোনও ফুটবলার। ফলে আমরা ঠিক করি কটক ছাড়ব।’’ এ দিন বিনা রিজার্ভেশনে জেনারেল কামরায় আসার ঘটনাকেও উড়িয়ে দেন শুভাশিস-নারায়ণরা। লাল-হলুদের বাঙালি ব্রিগেডের অন্যতম রফিক বলেন, ‘‘টিকিট কেটে সিট রিজার্ভ করেই আমরা এসেছি। মোহনবাগান সমর্থকরা যে দাবি করেছে সিট ছাড়ার তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’
আরও খবর: বাথরুমের প্যাসেজ থেকে ইস্টবেঙ্গল দলকে সিটে বসালেন বাগান সমর্থকরা
লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘‘ফুটবলাররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। এবং নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে। ফলে জরিমানা বা শো-কজ কোনওটাই করা হয়নি ক্লাবের পক্ষ থেকে। শুধু বোঝানো হয়েছে যে তাদের এই একটা পদক্ষেপ ক্লাবের ভাবমূর্তিকে কতটা ক্ষুণ্ণ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy