Advertisement
১২ অক্টোবর ২০২৪
Kalyan Chaubey

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে ভাইচুংকে পাল্টা কল্যাণের, ‘কোন ফেডারেশনে রাজনীতিবিদ থাকে না!’

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন ভাইচুং ভুটিয়া। তাঁকে পাল্টা দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। তাঁর প্রশ্ন, কোন ফেডারেশনে রাজনীতিবিদ থাকে না?

সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ চৌবে।

সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ চৌবে। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৩৭
Share: Save:

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে ভাইচুং ভুটিয়াকে পাল্টা দিলেন কল্যাণ চৌবে। এআইএফএফ-এর নতুন সভাপতির প্রশ্ন, কোন ফেডারেশনে রাজনীতিবিদ থাকে না?

ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হওয়ার পরে শনিবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন কল্যাণ। সেখানেই তাঁকে ভাইচুংয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে কল্যাণ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘এমন একটা ফেডারেশন দেখাতে পারবেন যেখানে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, অথবা রাজনীতিবিদ থাকে না?’’ তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ানো ভাইচুংকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান কল্যাণ। ফেডারেশনের এগজিকিউটিভ কমিটির কো-অপ্ট সদস্য হিসাবে ভাইচুংকে স্বাগত জানিয়েছেন এআইএফএফ সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলে ভাইচুংয়ের মতো অবদান খুব কম খেলোয়াড়েরই আছে। কো-অপ্ট সদস্য হিসাবে ভাইচুংকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’

ফেডারেশনের নির্বাচনে কল্যাণের বিরুদ্ধে ৩৩-১ ব্যবধানে হেরেছেন ভাইচুং। স্পষ্টতই হতাশ তিনি। নির্বাচনে হারলেও প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে আইএম বিজয়ন, সাবির আলি, ক্লাইম্যাক্স লরেন্সের সঙ্গে এগজিকিউটিভ কমিটির কো-অপ্ট সদস্য হয়েছেন ভাইচুং। সেই পদেও থাকতে খুব একটা আগ্রহী নন তিনি। যোগ দেননি কমিটির শনিবারের বৈঠকেও। ভাইচুং বলেছেন, ‘‘আমাকে কো-অপ্ট সদস্য করা হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি। আদৌ এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে যোগ দেব কি না, তা দু’এক দিনের মধ্যে ঠিক করব।’’

ফেডারেশন নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভাইচুং। নির্বাচনে হার-জিত থাকলেও ফল মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত হতাশ। এমন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হবে ভাবতে পারিনি। ফেডারেশন নির্বাচনে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। ভেবেছিলাম এটা শুধু ফুটবলের সভাপতি নির্বাচন। আন্তরিক ভাবে কিছু অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।’’ হতাশ ভাইচুং ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেছেন, ‘‘ওঁরা জয় নিয়ে যদি এতই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তা হলে নির্বাচনের আগের দিন রাত ন’টার সময় হোটেলে কেন এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আসতে হল? কেন তাঁকে রাত দু’টো পর্যন্ত থাকতে হল? মন্ত্রী যে হোটেলে এসেছিলেন, সেখানেই ছিলেন ফেডারেশন নির্বাচনের ভোটাররা। হোটেলের একটি তলায় সকলকে ডেকে উনি কথা বলেছেন।’’

ভাইচুংয়ের আরও অভিযোগ, ‘‘৩৪ জন ভোটদাতার মধ্যে ৩৩জনই মন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। সে সময় হোটেলের ওই তলায় বাইরের সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি কোনও ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। নেটওয়ার্কও খুব খারাপ ছিল সে সময়। রাজস্থান ফুটবল সংস্থার সচিবকে ফোন করার চেষ্টা করি। তিনি এই নির্বাচনের ভোটার ছিলেন। তাঁর সংস্থার সভাপতি মানবেন্দ্র সিংহ আমার মনোনয়নের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু ওঁকেও ফোনে পাইনি।’’ যদিও ভাইচুংয়ের এই অভিযোগে আমল দেননি কল্যাণ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE