ঘরের মাঠে খেলবে এটিকে মোহনবাগান ফাইল ছবি
এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন এবং গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলতে পেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। এ বার আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালও সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামেই খেলবে তারা। বৃহস্পতিবার ঘোষণা হল ড্র। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড খেলবে আশিয়ান জোনের বিজয়ীর বিরুদ্ধে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বা ভিয়েতনামের কোনও ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে পারে তারা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর হবে সেই ম্যাচ।
গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে আই লিগ জয়ী গোকুলম কেরলের কাছে ২-৪ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। পরের দু’টি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস এবং মাজিয়াকে যথাক্রমে ৪-০ এবং ৫-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয়। তিন ম্যাচে ছ’পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘ডি’-তে সবার উপরে শেষ করে সবুজ-মেরুন। এ বার তাদের সামনে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জ।
এটিকে মোহনবাগানের অবশ্য ঘাবড়ানোর কিছু নেই। দুই স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামস দল ছাড়লেও ব্রেন্ডল হামিল এবং ফ্লোরেন্তিন পোগবাকে সই করিয়েছে তারা। ডিফেন্স মজবুত হয়েছে। ফরোয়ার্ডে আরও শক্তি যোগ করতে চাইছে তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম নিঃসন্দেহে পল পোগবার দাদা ফ্লোরেন্তিন। কিছু দিন আগে আইএসএলের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো স্বীকার করে নেন, পোগবাকে ভারতে নিয়ে আসা যে মোটেই সহজ কাজ ছিল না। বলেন, “ওর মতো একজন ফুটবলারকে ভারতে এসে খেলতে রাজি করানোটা সোজা ছিল না। তবে আমাদের ক্লাবের লক্ষ্য, দর্শন ও মানসিকতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ওকে বলি, তখন ও রাজি হয়ে যায়।”
ফেরান্দো আরও বলেছেন, “পোগবা এমন এক আগ্রাসী ডিফেন্ডার, যে সারা মাঠ দাপিয়ে বেড়াতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা একেবারে পিছন থেকে আক্রমণ তৈরি করে দিতে পারে ও। প্রয়োজনে উঠে গিয়ে গোলও করে দিয়ে আসতে পারে।” তাঁর এই প্রতিভার জন্যই পোগবাকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কোচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy