চাকরি পেয়েও মন খারাপ দিলীপের ফাইল ছবি
সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাকে। কিন্তু কেরলের বিরুদ্ধে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি বাংলা। কেরল গোল শোধ করে এবং টাইব্রেকারে জিতে ট্রফিও ঘরে তোলে। তবে তাঁর খেলা নজর এড়ায়নি। সেই পারফরম্যান্সেরই উপহার বৃহস্পতিবার পেলেন দিলীপ ওঁরাও। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিজের কোটা থেকে চাকরি দিচ্ছেন। খুব শীঘ্রই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন দিলীপ। তা সত্ত্বেও মন খারাপ বাংলার ফুটবলারের।
এ দিন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও ভাল খেললেন। অল্পের জন্য একটি সুযোগও নষ্ট করেছেন। তার পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “চাকরি পেয়ে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু আমরা বিনিময়ে কী দিতে পারলাম? ট্রফি জিতে ঘরে ফিরলে আনন্দ দ্বিগুণ হত। কিন্তু সেটা না হওয়ায় কোথাও একটা খামতি থেকেই গেল বলে মনে হচ্ছে।”
এ দিন সকালেই দিলীপের সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিকেলে যুবভারতীর অনুশীলন মাঠে সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে খেলার আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। অরূপের ঘোষণা মতো আগামী ৯ তারিখ নিয়োগপত্র হাতে পাবেন দিলীপ। তবে কোন বিভাগে কাজ করবেন সেটা এখনও জানা যায়নি। নাগেরবাজারে যেখানে দিলীপ থাকেন, সেই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এখনও পর্যন্ত। বাবা স্থানীয় পুরসভার সাফাইকর্মী। তবে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে খুব তাড়াতাড়ি দিলীপের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আসতে চলেছে।
সন্তোষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে দিলীপ বললেন, “আমার কোনও অবদান নেই। স্যর (কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য) যে ভাবে বলেছেন সে ভাবেই খেলেছি। ওঁর পরামর্শ মেনেই সাফল্য পেয়েছি।” যাঁকে নিয়ে দিলীপ এ কথা বললেন, সেই রঞ্জনও উচ্ছ্বসিত। বললেন, “খুব গর্বের ব্যাপার। আমার দলের দু’জন ছেলে রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি পেয়েছে এর থেকে আনন্দের কিছু হতে পারে না। অনেকেই এই দলে আইএসএলে খেলার যোগ্য। আশা করি শীঘ্রই ওরা কোনও ভাল দলের থেকে প্রস্তাব পাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy