একাগ্র: লাল-হলুদের অনুশীলনে নন্দ, অতুল, মহেশরা। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।
শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ১-১ ড্র থাকা অবস্থায় ৭২ মিনিটে জ়াভি হার্নান্দেসের গোলে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। রেফারিং নিয়ে উঠেছিল ভুরি ভুরি অভিযোগ। ন্যায্য পেনাল্টিও পাননি নন্দ কুমাররা। শনিবার তাঁরা মুখোমুখি হবেন এফসি গোয়ার। যারা এখনও পর্যন্ত চলতি আইএসএলে অপরাজিত রয়েছেন। এটা ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ম্যাচ হলেও পুজোর কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে মহেশ সিংহদের খেলতে হবে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে।
সেই হারের রেশ ধরে বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে রেফারিং নিয়ে নিজেদের যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর কথায়, “বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। রেফারি ভুল করছে বারংবার। আমার মনে হয় ইস্টবেঙ্গল আরও সম্মান পাওয়ার যোগ্য। এই মুহূর্তে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলকে।”
প্রসঙ্গত সেই ম্যাচে একটা পেনাল্টি তাদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে। সুনীল ছেত্রী একটি পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন। ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “আমরা কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কিন্তু খারাপ খেলিনি। সেই ম্যাচে রেফারিং খুবই নিম্নপর্যায়ের ছিল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিছু মোড়ঘোরানো সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। অন্তত তিনটি সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে।”
তবে ক্লাবের ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁরাও যে ওয়াকিবহাল, সে কথাও গোপন করেননি কুয়াদ্রাত। তিনি বলেছেন, “আমরা শতবর্ষ অতিক্রম করা ক্লাব। আমাদের ক্লাবের এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা আইএসএলে মাত্র তিন বছর খেলছি। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে আমাদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমি চেষ্টা করছি। সেই সম্মান আবার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।”
রেফারিরাও যে ভুল করতে পারেন, সেই ব্যাপারও অবশ্য মেনে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলছেন, “আমি ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় ফুটবলে রয়েছি। ম্যাচ পরিচালনা দিনের পর দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। রেফারিরাও ভুল করতে পারেন। কিন্তু এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। বেঙ্গালুরু প্রথম হলুদ কার্ড পায় ৭০ মিনিটের পরে। অথচ প্রথমার্ধেই ওদের হলুদ কার্ড পাওয়ার কথা ছিল। অনেক জিনিসই রেফারির চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy