বিপক্ষের ফুটবলারের উপর ক্ষিপ্ত মেসি। ছবি: রয়টার্স
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দলকে জিতিয়ে সেমিফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। একটি গোল নিজে করেছেন, আর একটি করিয়েছেন। তবে রেফারির কারণে ম্যাচে একাধিক বার মাথা গরম করতে দেখা গিয়েছে মেসিকে। ম্যাচের পরও ক্ষিপ্ত দেখাল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে। বিপক্ষের ফুটবলারকে ‘বোকা’ এবং ‘নির্বোধ’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
দারুণ খেলার কারণে শুক্রবার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান মেসি। তিনি যখন সাক্ষাৎকারের সময় কথা বলছিলেন, তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন নেদারল্যান্ডসের গোলদাতা উইগ উইঘর্স্ট। সাক্ষাৎকার মাঝপথে থামিয়েই মেসি বলে ওঠেন, “এ দিকে তাকিয়ে কী দেখছ নির্বোধ? যাও এখান থেকে সরে যাও।” আসলে নেদারল্যান্ডসের শারীরিক ফুটবল একেবারেই পছন্দ হয়নি মেসির। তাঁকেও বহু বার ফাউলের শিকার হতে হয়েছে। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখিয়ে ম্যাচ আরও উত্তপ্ত করে তোলে রেফারি।
ম্যাচের মধ্যে মেসির সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় মেসির। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার বলেন, “রেফারি সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। কারণ সকলের সামনে যা বলব সেটা সত্যি হবে না। আমার মনে হয় ফিফার ভেবে দেখা প্রয়োজন, এ রকম ম্যাচে এই ধরনের রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত কি না। এমন রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়, যে কাজটার যোগ্য নয়।” ম্যাচে খেলতে নামার আগেই রেফারি নিয়ে প্রশ্ন ছিল মেসিদের মনে। সেটাও জানিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, “রেফারির নাম দেখে ম্যাচ শুরুর আগেই আমরা ভয়ে ভয়ে ছিলাম। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ধরনের রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়াই উচিত নয়।”
প্রথমে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় দু’গোলে। দেখে মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন লিয়োনেল মেসিরা। কিন্তু শেষ দিকে ২ গোল শোধ করল নেদারল্যান্ডস। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা। নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্য়বধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেলেন মেসিরা। কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল করা মেসি বলেন, “মারাদোনা আমাদের দেখছেন। আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ও। আশা করি, শেষ পর্যন্ত মারাদোনা আমাদের পাশে থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy