ফ্রান্সের নতুন কোচ হতে পারেন জ়িনেদিন জ়িদান। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বুধবার মরক্কোর বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ফ্রান্স। এ বার তারা ট্রফি জেতারও অন্যতম দাবিদার। তার মধ্যেই ফরাসি ফুটবল সংস্থায় লেগে গিয়েছে ডামাডোল। প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রায়েটের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ফলে জাতীয় দলের কোচ দিদিয়ের দেশঁর আসন টলোমলো। তাঁর জায়গায় জ়িনেদিন জ়িদানকে আনার ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ফ্রান্সের ক্রীড়া মন্ত্রী অ্যামিলি ওডি-কাস্তেরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লে গ্রায়েটের বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের উপরেই নির্ভর করছে দেশঁর ভবিষ্যৎ। দলকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলায় এমনিতে দেশঁর চাকরি নিয়ে খুব একটা সংশয় নেই। তবে স্পেনের এক সংবাদপত্র জানাচ্ছে, যদি ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিততে না পারে, তা হলে দেশঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। জ়িদানকে নাকি তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
যে সংবাদমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই ‘সো ফুট’ ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মামলা করছে ফরাসি ফুটবল সংস্থা। সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনে ওই ম্যাগাজিন জানিয়েছিল যে, সংস্থার মহিলা কর্মীদের উপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন লে গ্রায়েট। সংস্থার বিভিন্ন মহিলা কর্মীদের বক্তব্য প্রকাশ করা হলেও কারওর নাম নেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে, লে গ্রায়েট মহিলা কর্মীদের আপত্তিকর বার্তা পাঠাতেন। তাঁর কাজকর্মের ধরন মোটেই ভাল ছিল না।
দেশঁ অবশ্য নিজের চাকরি নিয়ে ভাবিত নন। মরক্কো ম্যাচের আগেই তিনি বলেছেন, “সব কাজেরই একটা মেয়াদ থাকে। প্রেসিডেন্ট যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন সেটা পূর্ণ করাই আমাদের কাজ। তিনি খুশি। আমার বিশ্বাস, আরও অনেকে খুশি। দলকে শেষ চারে নিয়ে যেতে পেরে আমিও খুশি। এখন বুধবারের ম্যাচ নিয়েই শুধু ভাবছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy