ফাইনালের আগে অনুশীলনে ফ্রান্সের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
ফ্রান্স দলে একাধিক ফুটবলার অসুস্থ। এর জন্য নাকি দায়ী ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিল ফ্রান্স। সেই ম্যাচে খেলার পর থেকেই অসুস্থ হয়েছেন ফ্রান্সের বেশ কিছু ফুটবলার। আদ্রিয়েঁ হাবিয়েঁ এবং দায়োত উপামেকানো তো মরক্কোর বিরুদ্ধে খেলতেই পারলেন না শরীর খারাপ বলে। ফাইনালের আগে সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন ইব্রাহিম কোনাটে, রাফায়েল ভারান, কিংসলে কোমানের মতো ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচের আগে দলের ফুটবলাররা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে কোচ দিদিয়ের দেশঁর। কিন্তু ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারানো ফ্রান্স এখন দুষছে ইংরেজদের। অভিযোগ, ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা শরীর খারাপ নিয়েই খেলেছিলেন। জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল তাঁদের। সেখান থেকেই নাকি ফ্রান্সের ফুটবলারদের মধ্যে শরীর খারাপ ছড়িয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ড দলের তরফে নাকি সাংবাদিকদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছিল। সেই কারণেই ইংল্যান্ড ফুটবলারদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্পেনের এক সংবাদমাধ্যম অবশ্য জানিয়েছে যে, মাঠের স্টেডিয়ামের শীতাতপ যন্ত্রের কারণেই ঠান্ডা লেগেছে ফ্রান্সের ফুটবলারদের। স্টেডিয়ামগুলির আবহাওয়া এতটাই ঠান্ডা যে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক ফুটবলার। শুধু ফ্রান্সের ফুটবলাররা নন, এর আগে ব্রাজিল দলের অ্যান্টনিও জানিয়েছিলেন যে, স্টেডিয়ামের আবহাওয়ার জন্য অসুবিধা হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।
ফ্রান্সের অন্তত তিন জন ফুটবলার ‘কোল্ড ভাইরাস’ বা ঠান্ডার ভাইরাসে আক্রান্ত। দুই ফুটবলারের অবস্থা বেশ খারাপ। তাঁদের বাকিদের থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। ফ্রান্স শিবিরের আশা, হাতে দিন দুয়েক সময় থাকায় ফাইনালে সেরা দল নামাতে সমস্যা হবে না। অসুস্থ ফুটবলারের সংখ্যা আরও বাড়লে উদ্বেগ বাড়বে। ফ্রান্স কোচ শনিবার পর্যন্ত দেখে ফাইনালের পরিকল্পনা করতে চান। দেশঁ বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে ফ্লু হয়। সেটাই হচ্ছে অনেকের। আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি। ফুটবলারদের অনেকের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy