আতঙ্কের মধ্যেই ইউক্রেনে শুরু হয়েছে ফুটবল। প্রতীকী চিত্র
খেলা শুরু হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়েই। কিন্তু ৯০ মিনিট পরেও তা শেষ হল না। তার বদলে খেলা গড়াল সাড়ে ৪ ঘণ্টায়। মাঝে তিন বার বন্ধ হল খেলা। সাইরেন বাজতেই ফুটবলাররা আশ্রয় নিলেন নিরাপদ জায়গায়। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁরা লুকিয়েই থাকলেন। বোমা, মিসাইলের আতঙ্কের মধ্যে এ ভাবেই খেলা হল ইউক্রেনে।
যুদ্ধ এখনও থামেনি ইউক্রেনে। মাঝেমধ্যেই আকাশে ঘুরছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। সেখান থেকে ছোড়া বোমা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বাড়ি-ঘর। এখনও মাঝেমধ্যে ধেয়ে আসছে মিসাইল। কিন্তু তার মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে ঘরোয়া ফুটবল শুরু হয়েছে ইউক্রেনে। সে দিন চারটে খেলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। বুধবার হয়েছে। তিন বার বন্ধ করতে হয়েছে খেলা।
লিভিভের ইউক্রেনা স্টেডিয়ামে রুখ লিভিভ ও মেটালিস্ট খারকিভের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন তিন বার সাইরেন বাজে। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টেয় খেলা শুরু হলেও তা শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফরা গিয়ে আশ্রয় নেন নিরাপদ স্থানে। শেষ পর্যন্ত খারকিভ ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে।
বোমা, মিসাইলের আতঙ্ক থাকায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের ভিতরে তৈরি রাখা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। যদি কখনও এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সাইরেন বাজে তা হলে সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলছে স্টেডিয়াম। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে তারা জানাচ্ছে খেলা শুরু করা যাবে কি না।
ইউক্রেন ফুটবল সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রি পাভেলকো বলেছেন, ‘‘সম্পূর্ণ অন্য রকম পরিস্থিতিতে লিগ শুরু করছি। যুদ্ধের মধ্যেই খেলা হচ্ছে। বোমা, মিসাইলের আতঙ্ক নিয়েই খেলা হচ্ছে। অনেক ক্লাবের স্টেডিয়াম ভেঙে পড়েছে। তাদের সাহায্য করতে অন্য ক্লাব এগিয়ে এসেছে। ফুটবল আমাদের কাছে আবেগ, লড়াই। কোনও যুদ্ধ একে আটকে রাখতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy