হুগো বুমোস। —ফাইল চিত্র।
মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মন কষাকষি চলছিল তাঁর। কোচের সঙ্গেও বিবাদের খবর শোনা যাচ্ছিল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১৮ জনের দলে জায়গা পাননি মোহনবাগানের বিদেশি ফুটবলার হুগো বুমোস। এই ম্যাচই কি বুঝিয়ে দিল যে এ বার বাগান ছাড়ার সময় হয়েছে তাঁর? সে কথা কি স্পষ্ট করে দিলেন সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস?
এই মরসুমের শুরু থেকে বুমোসের বাগান ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তাঁর ঠিক মতো বনিবনা হচ্ছিল না বলেই সূত্রের খবর। তার পরেই চলতি মরসুমে বুমোসকে দলে রেখেছিল মোহনবাগান। বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁকে খেলিয়েছেন মোহনবাগানের আগের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু বুমোস যে মানের ফুটবলার তার ধারেকাছেও দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। কখনও কখনও দলের বোঝা হয়ে উঠছিলেন। বুমোসকে সামনে রেখেই মাঝমাঠ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তিনি ভাল খেলতে না পারায় সব পরিকল্পনা নষ্ট হচ্ছিল মোহনবাগানের।
সুপার কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানের হারের নেপথ্যে বড় কারণ ছিলেন বুমোস। বাগান পেনাল্টি পাওয়ার পরে গোল করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগে বুমোস বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে হয় পেত্রাতোসকে। বারে মারেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল করে ডার্বি জেতে ইস্টবেঙ্গল।
সুপার কাপের পরে ফেরান্দো পদত্যাগ করেন। বাগানের কোচ হন হাবাস। তিনি আইএসএলের ডার্বিতে রাখেননি বুমোসকে। প্রথম একাদশে তো বটেই ১৮ জনের দলেও ছিলেন না তিনি। এমন কোনও খবর নেই যে চোট রয়েছে বুমোসের। তার পরেও ডার্বির মতো ম্যাচে তাঁকে প্রথম ১৮ জনের বাইরে রেখে কি বুমোসকে বার্তা দিয়ে দিলেন হাবাস? এ বার কি বাগান ছাড়ার সময় হয়েছে তাঁর? ইঙ্গিত কিন্তু সে কথাই বলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy