বিতর্কিত গোলের ঠিক আগের মুহূর্ত। বল গোল লাইনের বাইরে। ছবি: সংগৃহীত।
যে দেশ গত বছর বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল, সেই দেশে ‘ডাকাতি’-র শিকার হল ভারতীয় ফুটবল দল! রেফারি এবং দুই লাইন্সম্যান মিলে ডাকাতি করলেন ভারতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে। তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩৭ মিনিটে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে ভারত এগিয়ে যায়। ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ভারত এগিয়ে ছিল। এর পর রেফারির জঘন্য, হাস্যকর সিদ্ধান্তে গোল খেয়ে যায় ভারত। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কাতারের কাছে শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হারতে হয় দলকে। এ বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় ভারতের।
৭৩ মিনিটে সমতা ফেরান কাতারের ইউসুফ আইমেন। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ বল ধরতে গিয়ে ফস্কান। বল গোল লাইনের বাইরে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে বল টেনে নিয়ে ভিতরে ঢোকান কাতারের ফুটবলার। গোল করেন আইমেন। গোলের পর কাতারের ফুটবলারদের দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় তাঁরাও ভাবেননি এটি গোল দেওয়া হবে। কিন্তু রেফারি কিম উয়ো সাং সবাইকে অবাক করে দিয়ে গোল দিয়ে দেন। দুই লাইন্সম্যান কাং ডং হো এবং চিয়ন জিন হি-ও কার্যত চোখ বুজে থাকেন। অবাক ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠেই প্রতিবাদ জানান। কোনও লাভ হয়নি।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচেও যদি ‘ভার’ প্রযুক্তি না থাকে, তা হলে আর কোন ম্যাচে থাকবে? কেউ কেউ বলছেন রেফারির সিদ্ধান্ত হাস্যকর। কেউ বলছেন, এটা চুরি। আবার কেউ বলছেন এটা ডাকাতি। কেউ কেউ গত বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারকে দোষ দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ইচ্ছা করেই এটা করা হয়েছে। কারণ, এই ম্যাচ জিতলে ভারত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের পরের রাউন্ডে চলে যেত।
এর পরেও রেফারির ভুল শেষ হয়নি। রাহুল ভেকেকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু ভারতীয় দলের এই সেন্টার ব্যাক ট্যাকলই করেননি। ভারতের একটি পেনাল্টির আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সরকারি ভাবে রেফারিং নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। এখন দেখার, ফিফা কী ব্যবস্থা নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy