রেনেডি সিংহ ছবি টুইটার
ম্যানুয়েল দিয়াসের বিদায়ের পর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিতেই বদলে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। খেলার মধ্যে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে গত ম্যাচই যার প্রমাণ। মঙ্গলবার দেখা গিয়েছিল পরিচিত লাল-হলুদকে। তার পিছনে কৃতিত্ব রয়েছে রেনেডি সিংহের। দায়িত্ব নিয়েই যিনি বদলে দিয়েছেন দলকে। তবে পরের ম্যাচের আগে তাঁকে চিন্তা ফেলেছে একের পর এক বিদেশি ফুটবলারের চোট।
তবু শুক্রবার এ মরসুমের অন্যতম সেরা দল মুম্বই সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসী রেনেডি। দলের রক্ষণে খামতি রয়েছে। মুম্বইয়ের মতো আক্রমণাত্মক দলের মুখোমুখি হওয়ার আগেও তা নিয়ে বিচলিত নন রেনেডি। আস্থা রাখছেন ছেলেদের উপরে। ম্যাচের আগে বলেছেন, “হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমরা যা খেলেছি তাতে বুঝতে পেরেছি যে, আমরাও ভাল খেলতে পারি। গত ম্যাচে দলের ছেলেরা যে রকম খেলেছে, ডিফেন্ড করেছে, তা আমার খুব ভাল লেগেছে। একটাই সমস্যা, পায়ে বল থাকার সময় আরও একটু আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এটা নিয়েই এখন কাজ করছি আমরা সবাই।”
রেনেডির সংযোজন, “মুম্বই লিগের অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক দল। ওরা গত কয়েকটা মরসুমে কী করেছে তা আমরা খুব ভাল করেই জানি। তাই ওদের যদি নিজেদের মতো খেলতে দিই, তার শাস্তি আমাদের পেতে হবে। ফলে আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। আক্রমণে যেমন একসঙ্গে উঠতে হবে, তেমনই রক্ষণেও একসঙ্গে নামতে হবে। আশা করি ভাল ম্যাচ হবে। আমরা হয়তো একজন-দু’জনের বেশি বিদেশি ফুটবলার পাব না। তবে দেশীয় ফুটবলার যারাই খেলুক, তারা আশা করি একশো শতাংশ দেবে।”
The boys got back to work again with the games coming thick and fast.
— SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 6, 2022
Next stop, the Maidan. We welcome Mumbai City FC. #SCEBMCFC #WeAreSCEB #JoyEastBengal pic.twitter.com/AVDncfgVAR
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবলাররাই মূল ভরসা রেনেডির। কারণ চোট এবং নির্বাসনের জন্য একাধিক বিদেশিকে পাবেন না তিনি। চোটের তালিকায় নয়া সংযোজন টমিস্লাভ মার্সেলা। রেনেডি বলেছেন, “চোটই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আগের দিনও তিন খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলাম আমরা। আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ নির্বাসিত। টমিও চোট পেয়ে দু’-তিন সপ্তাহের জন্য বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে চিমা কার্যত একাই থাকছে কালকের জন্য।”
রেনেডির কাছে আরও একটি সমস্যার নাম গোলকিপার। গত কয়েকটি ম্যাচে গোলকিপাররা সমস্যায় ফেলেছেন দলকে। তাই নিয়ে রেনেডি বলছেন, “সত্যিই গোলকিপারদের কঠিন সময় চলছে। আসলে গোল খাওয়ার পরে দেখতে হয়, কোথা থেকে গোলটা হল। যে কোনও দলের ফরোয়ার্ডরাই এক নম্বর ডিফেন্ডার হয়ে ওঠে। আর প্রথম অ্যাটাকার হয় গোলকিপার। তা হলে শুধু গোলকিপার নয়, ফরোয়ার্ডদের নিয়েও অভিযোগ তোলা উচিত। যখন আমরা গোল খাই তখন গোলকিপারকেই দোষী সাব্যস্ত করি। কিন্তু ফরোয়ার্ডদেরও দায়িত্ব আছে। ওরা যদি ভাল ভাবে রক্ষণের কাজটা করে তা হলে গোলকিপারের কাজটা সোজা হয়ে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy