ম্যাচের আগে মোহনবাগানের তিন ফুটবলারের কথাতে বোঝা গেল, তাঁরা ইস্টবেঙ্গলকে সমীহই করছেন। ফাইল ছবি
শেষ সাতটি ডার্বিতে জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। এ বারও তারা পয়েন্ট তালিকায় তিনে রয়েছে। শনিবার আরও এক বার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের অবস্থা স্বাভাবিক ভাবেই ফুরফুরে থাকার কথা। তবে তা নেই। ম্যাচের আগে মোহনবাগানের তিন ফুটবলারের কথাতে বোঝা গেল, তাঁরা ইস্টবেঙ্গলকে সমীহই করছেন।
দিমিত্রি পেত্রাতোস বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট শক্তিশালী। বিশেষত আক্রমণভাগ এবং উইং। লিগ-শিল্ড বিজয়ীদের হারিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। ফলে ওদের খাটো করে দেখার কারণ নেই। তবে আমি নিজের দলকে নিয়ে ভাবছি। আমরা জিতব, এই আশাই রাখছি।”
ডিফেন্ডার স্লাভকো দামিয়ানোভিচের মতে, ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে শক্তিশালী হল আক্রমণভাগ। তিনি প্রশংসা করেছেন ক্লেটন সিলভার। সুযোগসন্ধানী ক্লেটন এ বার ১২টি গোল করেছেন। তবে পাল্টা স্লাভকোও বলেছেন, “আইএসএলে ক্লেটনের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। তাই ওর ধরনটা জানি। এ বারও আমার সঙ্গে পারবে না। গোল করতে দেব না, এই শপথ নিয়েই নামব। ব্রেন্ডন হ্যামিল অনেক ম্যাচ খেলায় ক্লান্ত। তাই হয়তো কোচ আমাকে নামাবেন। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
বঙ্গসন্তান শুভাশিস বসু বহু ডার্বিযুদ্ধের সাক্ষী। সেটা মনে করিয়ে বলেছেন, “আজ পর্যন্ত আমি কোনও ডার্বিতে হারিনি। এ বারও সেই রেকর্ড অক্ষত রাখতে চাই। প্লে-অফে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা নিশ্চিত করতেই হবে। তবে ইস্টবেঙ্গল ভাল খেলছে। শেষ ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়েছে। ওদের হারানোর আর কিছু নেই বলেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে।”
শুভাশিস বহু ডার্বি খেললেও পেত্রাতোস এবং স্লাভকোর কাছে এটাই প্রথম কলকাতা ডার্বি। পেত্রাতোস বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ডার্বি খেলেছে। সেখানে যে মানসিকতা ছিল এখানেও সেটাই থাকবে। প্রত্যেকের কাছেই এই ম্যাচ মর্যাদার।” স্লাভকো বলেছেন, “আমি খেলেছি সার্বিয়ান ডার্বিতে। তবে প্রথম বার কলকাতা ডার্বি খেলতে নামার আগে রোমাঞ্চিত। ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখেছি ডার্বির। ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy