এশিয়ান গেমসের আগে সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় ফুটবল দলের! আজ, রবিবার বিকেলে চিনের হ্যাংঝাউয়ে রওনা হওয়ার কথা সুনীল ছেত্রীদের। কিন্তু শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১২ জন ফুটবলারের এশিয়ান গেমসের ছাড়পত্র (ই-অ্যাক্রিডিটেশন) না আসায় তাঁরা কবে যাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। এঁরা হলেন— লালচুংনুঙ্গা, চিংলেনসানা সিংহ, জ়াফর নুরানি, সুমিত রাঠি, স্যামুয়েল জেমস, ভিন্সি ব্যারেটো, আব্দুল রাবেয়া, আয়ুষ ছেত্রী, গুরকিরত সিংহ, ব্রাইস মিরান্ডা, দীপক টাংরি ও বিশাল যাদব।
এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দেয়নি। কারণ তাদের নীতি অনুযায়ী এশীয় ক্রমতালিকায় প্রথম আটটি দেশের মধ্যে থাকতে হবে ভারতীয় ফুটবল দলকে। এই পরিস্থিতিতে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে এশিয়ান গেমসে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও সমস্যা তৈরি হয় দল গড়তে গিয়ে। কারণ, ক্লাবগুলি ফুটবলার ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না।
গত বুধবার এআইএফএফ যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে সুনীল ছাড়া আর কোনও তারকার নাম ছিল না। সমস্যা মেটাতে ফেডারেশন সভাপতি সমস্ত ক্লাবের কর্ণধারের সঙ্গে আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত ক্লাবগুলি পিছু হঠে। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সন্দেশ জিঙ্ঘন, চিংলেনসানা, লালচুংনুঙ্গা, বিশাল যাদবকে অন্তর্ভুক্ত করে এশিয়ান গেমসের জন্য নতুন দল ঘোষণা করা হয়। নতুন দল ঘোষণা হওয়ার পরে সমস্যা তৈরি হয়েছে ১২জন ফুটবলারের চিন রওনা হওয়া নিয়ে। কেন? আনন্দবাজারকে ফেডারেশন সভাপতি বললেন, ‘‘ফুটবলারদের নাম পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই। যাঁরা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাঁরা পাননি, তাঁদের ই-অ্যাক্রিডিটেশন থাকতে হবে। তা না হলে হ্যাংঝাউয়ে এশিয়ান গেমসের ভিলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ১২ জনের ই-অ্যাক্রিডিটেশন এখনও আসেনি।’’
এআইএফএফ সভাপতি তথা ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার এবং যুগ্মসচিব হিসেবে কল্যাণ এখন ব্যস্ত এশীয় অলিম্পিক সংস্থা ও এশিয়ান গেমসের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে। বললেন, ‘‘১৯ সেপ্টেম্বর আমাদের প্রথম ম্যাচ চিনের বিরুদ্ধে। চেষ্টা করছি রবিবার দলের সঙ্গেই ওঁদের পাঠানোর।’’ তবে যা পরিস্থিতি তাতে কোনও অনুশীলন ছাড়াই খেলতে হতে পারে ভারতকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)