ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরা। ছবি: টুইটার
ডুরান্ডের সেমিফাইনালের শুরুটা ভাল হল না ইস্টবেঙ্গলের। যুবভারতীতে প্রথমার্ধের বিরতিতে নর্থইস্টের কাছে ১-২ গোলে পিছিয়ে তারা। প্রথমার্ধের ২২ মিনিটের মাথায় গোল করে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন মিগুয়েল জাবাকো। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবলের খেসারত দিতে হয়েছে লাল-হলুদকে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে নর্থইস্টের হয়ে দ্বিতীয় গোল দিলেন ফাল্গুনী সিংহ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এক গোল শোধ করেছেন মহেশ নাওরেম সিংহ।
যুবভারতীতে খেলার শুরুটা দেখে মনে হল নর্থইস্ট নয়, ইস্টবেঙ্গলই বোধহয় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছে। প্রথম ১৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে নর্থইস্ট। খেলার শুরুতেই লাল-হলুদ রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকলেও গোল লক্ষ্য করে শট মারতে পারেননি ফাল্গুনী।
দু’দলই মাঝমাঠ দখলের চেষ্টা করছিল। সেখানে খানিকটা এগিয়ে ছিল উত্তর-পূর্বের দল। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠছিলেন মিগুয়েল জাবাকো, মনবীর সিংহেরা। উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গলের দুই প্রান্ত ধরে খুব বেশি আক্রমণ হচ্ছিল না। যে কয়েকটি আক্রমণ মন্দার রাও, নিশু কুমারেরা তুলে আনেন তা-ও নর্থইস্টের রক্ষণে আটকে যায়। মহেশ নাওরেম সিংহ এই ম্যাচে ডান প্রান্ত ধরে খেলছিলেন। যে কয়েকটি আক্রমণ হয় তাতে ভূমিকা ছিল নাওরেমের। বক্সের বাইরে থেকে লুকাস পারডোর জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন নর্থইস্টের গোলরক্ষক মিচু মিরশাদ। এই মিরশাদ ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলরক্ষক।
মাঝেমধ্যে ভুল পাস, ছন্নছাড়া ফুটবল দেখা যাচ্ছিল যুবভারতীতে। তার মাঝেই ২২ মিনিটের মাথায় চমক দেখাল নর্থইস্ট। বাঁ প্রান্তে বক্সের বাইরে বল পান ফাল্গুনী। ফিতরে ঢুকে রক্ষণের উপর দিয়ে বক্সের ভিতরে বল ভাসিয়ে দেন তিনি। লাল-হলুদ ডিফেন্ডারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে হেডে গোল করেন জাবাকো। এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিলেন জাভিয়ের সিভেরিয়ো। কিন্তু নাওরেমের ক্রস নামাতে পারেননি তিনি। বল তাঁর মাথায় রেখে বাইরে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মাঝেমধ্যেই ফুটবলারেরা চোট পাওয়ায় খেলায় বিঘ্ন ঘটছিল। শেষ পর্যন্ত ০-১ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় নর্থইস্ট। ৫৬ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল ধরে গোল করে যান ফাল্গুনী। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল।
৭৬ মিনিটে এক গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটন সিলভার ক্রস থেকে নাওরেমের শট দীনেশের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy