জুয়ান ফেরান্দো। — ফাইল চিত্র।
পেনাল্টি নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে সে সব নিয়ে কিছুই ভাবতে চায় না মোহনবাগান। মরসুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তোলাই লক্ষ্য তাদের। কোচ জুয়ান ফেরান্দো ইঙ্গিত দিয়েছেন দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার। তবে যতই তিনি এই প্রতিযোগিতাকে প্রাক মরসুম প্রস্তুতি বলুন, ট্রফি জেতা যে তাঁর মাথায় ঘুরছে সেটা বোঝা গেল। ডুরান্ডের প্রথম ডার্বিতে হারের জ্বালা এখনও শুকোয়নি। কোচ সেটা মনে না রাখলেও ফুটবলার আর্মান্দো সাদিকু জানিয়ে দিলেন, তাঁর মাথায় প্রতিশোধই।
কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। সেমিফাইনালে গোয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি না থাকলেও দেওয়া হয়েছে। দুই ম্যাচে মোহনবাগানের এই দুই ‘ভাগ্য’ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না লাল-হলুদ সমর্থকেরা। পাল্টা মোহনবাগান সমর্থকেরা সমাজমাধ্যমে অতীতের বিভিন্ন ম্যাচের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলছেন, কী ভাবে তখন ইস্টবেঙ্গল রেফারিদের সাহায্য পেয়েছে।
সমাজমাধ্যমে চুলোচুলি থাকলেও ফেরান্দোর পা বাস্তবের মাটিতেই। গোয়াকে হারানোর পরেই তিনি বলে দিয়েছিলেন, “প্রথম গোলের সময় ওদের খেলোয়াড়েরা আমাদের ধাক্কা মেরেছিল। গত মরসুমে এই গোয়ার বিরুদ্ধেই আমাদের জনি কাউকোকে খারাপ ভাবে ট্যাকল করা হয়েছিল। রেফারি কিছুই বলেননি। আসলে রেফারিদের সিদ্ধান্ত কখনও পক্ষে যায়, কখনও বিপক্ষে। যদি বিপক্ষের কোচ মনে করেন যে পেনাল্টির জন্যেই ফাইনালে উঠতে পারেননি, তা হলে কিছুই বলার নেই।”
উঠে আসে প্রতিশোধের প্রসঙ্গ। ফেরান্দো সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “আবারও বলছি, আমাদের কাছে এখনও এটা প্রাক মরসুম প্রস্তুতি। ফুটবলারদের বিভিন্ন পজিশনে খেলে নিয়ে দেখে নিতে চাইছি। পরের দিকে মরসুম শুরু হলে সুবিধা পাওয়া যাবে। পরের ম্যাচে প্রতিশোধ বা সে রকম কিছু নিয়ে ভাবছি না।”
কোচের কথার সঙ্গে মিলল না সাদিকুর কথা। তাঁকে একই প্রশ্ন করা হলে উত্তর, “প্রথম ডার্বিটাই আমার এখানে প্রথম ম্যাচ ছিল। আমি খুবই খারাপ খেলেছিলাম। তাই আমার কাছে ফাইনাল প্রতিশোধের ম্যাচ। আমি চাই গোল করে দলকে ট্রফি জেতাতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy