অনুশীলনে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। ছবি: টুইটার।
এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে ওড়িশাকে ৪-০ গোলে উড়িয়েছে মোহনবাগান। সোমবার তাদের সামনে মাজিয়া, যারা প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। গত বার এই মাজিয়াকেই ঘরের মাঠে ৫-২ হারিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু ম্যাচের আগে অতীতের কথা মাথায় রাখতে চাইলেন না মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর মতে, মাজিয়া এ বার অনেক শক্তিশালী দল। ফলে আত্মতুষ্ট হওয়ার কোনও জায়গা নেই তাঁদের।
মলদ্বীপের ক্লাবটিকে নিয়ে ফেরান্দো বলেছেন, “মাজিয়া শেষ ম্যাচে জিতেছে। আমরা তিন পয়েন্টের জন্যেই খেলব। এ বার মাজিয়াকে অত সহজে হারানো যাবে না। ম্যাচটা যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে।” কেন মাজিয়া শক্তিশালী সে প্রসঙ্গে ফেরান্দোর ব্যাখ্যা, “ওরা অনেক উন্নতি করেছে। গত মরসুমের জয় অতীত। সেই ম্যাচে রক্ষণের ভুলে আমরা দুটো গোল খেয়েছিলাম। ওরা সেখান থেকে অনেক উন্নতি করেছে। এখন আর ঝুঁকি নেয় না। ওদের দেশের খেলোয়াড়দের মান আগের থেকে অনেক বেড়েছে। বল নিয়ন্ত্রণ ভাল। মাঠেও অনেক বেশি আগ্রাসী।”
জুয়ানের সংযোজন, “ওরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলেছে। বিদেশি ফুটবলারদের মান ভাল। ওদের বিরুদ্ধে জিততে গেলে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।”
এ বারের প্রতিযোগিতায় বাড়তি বিদেশি খেলানোর সুযোগ থাকছে। এটা কি মোহনবাগানের কাছে সুবিধা? ফেরান্দোর উত্তর, “ওড়িশা ম্যাচে আমি পাঁচ জন বিদেশি খেলিয়েছি। আমি বিদেশিদের সংখ্যা বা বয়স নিয়ে ভাবি না। ম্যাচের দিন কে সবচেয়ে ভাল তৈরি, কে তরতাজা সে সব দেখেই প্রথম একাদশ তৈরি করব। একটানা ম্যাচ রয়েছে আমাদের। তাই পরের আইএসএল ম্যাচের কথা ভেবে কয়েকজনকে বিশ্রামও দিতে পারি। সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই নামতে চাই।”
মোহনবাগান এবং মাজিয়া ছ’বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। সবুজ-মেরুন জিতেছে তিন বার। মাজিয়া দু’বার। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। মরসুমের জন্যে ছিটকে যাওয়া আশিক কুরুনিয়ন বাদে মোহনবাগানের বাকিরা সবাই সুস্থ। মাজিয়া অবশ্য তাদের অধিনায়ক, গোলকিপার এবং স্ট্রাইকারকে পাবে না। তাই ধারেভারে সোমবারের ম্যাচে মোহনবাগানই এগিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy