শারীরিক অবস্থার এখনও তেমন উন্নতি হয়নি পেলের। ফাইল চিত্র।
বড়দিনের উৎসবে গোটা বিশ্বের মতো মেতে উঠেছেন খেলার দুনিয়ার তারকারাও। লিয়োনেল মেসি থেকে সচিন তেন্ডুলকর, রবার্ট লেয়নডস্কি থেকে ডেভিড ওয়ার্নার— গণমাধ্যমে ছবি তুলে দিয়ে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন ভক্তদের সঙ্গে।
তবে মন খারাপ ফুটবল সম্রাট পেলের ভক্তদের। অন্ত্রের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যিনি এখন সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর কিডনি এবং হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা আরও বেড়েছে। শনিবারই পেলের কন্যা কেলি হাসপাতালে বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। যেখানে হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে থাকা পেলের শরীরের একটা অংশ দেখা যাচ্ছে। পেলের কন্যা জড়িয়ে ধরে আছেন বাবাকে।
পেলের আর এক কন্যা ফ্লাভিয়া যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, পেলে বড়দিন কাটাবেন হাসপাতালেই। ‘‘আমরা এ বার বড়দিন বাড়িতে পালন করব না। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বেশ কিছু কারণের জন্য আমাদের হাসতাপালে থাকাটাই ভাল। হাসপাতালের প্রত্যেকেও আমাদের পাশে সব সময় আছেন।’’ পেলের অসংখ্য ভক্তের পাশাপাশি অসুস্থ পেলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ। তিনি বলেছে, ‘‘পেলে আমরা আপনার পাশেই আছি। আপনার জন্য প্রার্থনা করছি।’’
শনিবার হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন পেলের পুত্র এডসন। যিনি এডিনহো নামেই পরিচিত। তিনি বলেছেন, এই অবস্থায় চিকিৎসকেরাই শুধু সাহায্য করতে পারেন পেলেকে। গণমাধ্যমে পেলের কন্যা কেলি একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘‘এডসন এসে গিয়েছে।’’ সঙ্গে একটি ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন যেখানে তাঁকে এডসন ও পেলের আরও দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরেই স্যান্টোসের প্রাক্তন গোলকিপার এডিনহো ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে তিনি পেলের হাত ধরে আছেন।
ভারতীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও বড়দিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর ফাঁকে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গণমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর বাচ্চাদের জন্য একটি সেবা প্রতিষ্ঠানে সময় কাটান। গণমাধ্যমে সেই ছবি দিয়ে সচিন লিখেছেন, ‘‘বড়দিন এমন একটা উপলক্ষ যখন আমরা আনন্দ ভাগ করে নিই। বাচ্চাদের সংস্পর্শ আমাদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। আমরা এক সঙ্গে খেললাম, গান গাইলাম, কাপ কেক খেলাম আর কয়েকটা ছবিও তুললাম। এই বাচ্চারা বড়দিনকে আরও সুন্দর করে তুলল।’’
লিয়োনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা গণমাধ্যমে তাঁদের তিন পুত্রের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকেই মেসি এবং তাঁর পরিবার উৎসবের মেজাজে আছে। যে দিন কাতারে প্রথম বার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ তুলে দেন অধিনায়ক মেসি। স্ত্রী আন্তোনেল্লাও এই দীর্ঘ যাত্রায় মেসির সঙ্গে বরাবর পাশে থেকেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে লুসেল স্টেডিয়ামেও পরিবারের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত কাটাতে দেখা গিয়েছিল মেসিকে। ফলে এ বারের বড় দিন নিঃসন্দেহে মেসি ও পরিবারের কাছে আরও আনন্দময় করে তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy