Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Franz Beckenbauer

বিশ্ব ফুটবলে আবার নক্ষত্রপতন, প্রয়াত বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

বিশ্ব ফুটবল হারাল আরও এক নক্ষত্রকে। চলে গেলেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সোমবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে।

football

ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৪
Share: Save:

বিশ্ব ফুটবল হারাল আরও এক নক্ষত্রকে। চলে গেলেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সোমবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। ৭৮ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ভুগছিলেন দীর্ঘ দিন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল।

সাম্প্রতিক কালে বেশির ভাগ ফুটবলার যে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, সেই ‘পার্কিনসন্স ডিজ়‌িজ’-এই ভুগছিলেন বেকেনবাওয়ার। ২০১৫ সালে ছেলে স্টিফেন মারা যাওয়ার পর থেকে বেকেনবাওয়ারের শরীর ক্রমশ খারাপ হতে পারে। ক্রমশ সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। হৃদযন্ত্রের চিকিৎসাও চলছিল।

এক বিবৃতিতে তার পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার রবিবার রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবার সেই সময় ওঁর সঙ্গেই ছিল। আশা করি সবাই ওঁর পরিবারের এই কঠিন সময়ে পাশে থাকবেন।”

ফুটবল খেলার সময় ‘ডার কাইজ়ার’ নামে পরিচিত ছিলেন বেকেনবাওয়ার। অর্থাৎ যিনি নেতা। জার্মানির এই ফুটবলারকে তর্কাতীত ভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলা হত। জার্মানির মানুষ মনেই করেন, তাঁদের কাছে বেকেনবাওয়ার ছাড়া আর কোনও বড় ফুটবলার নেই। পেলে বা দিয়েগো মারাদোনাকে নিয়ে জার্মানির মানুষ কোনও দিনই মাথা ঘামাননি। তাঁদের কাছে বেকেনবাওয়ারই ছিল সব।

একাধিক বার তাঁর মৃত্যুর গুজব রটেছে। প্রতি বারই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু শারীরিক কারণে মাঠে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেক দিনই। সোমবারের খবর স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা জার্মানিকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Franz Beckenbauer Germany Fifa World Cup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE