ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ কাঁপিয়ে গোল করলেন মার্কাস।
গোকুলম — ৩ ইস্টবেঙ্গল — ১
(হেনরি, ক্রেসপি আত্মঘাতী, মার্কাস) (আইদারা)
ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাও এখন নিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। ভিন রাজ্যের দল এসে এখন মাটি ধরিয়ে যাচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।
এগিয়ে আসছে বাঙালির চিরআবেগের ম্যাচ। রবিবারের বহু প্রতীক্ষিত ডার্বিতে নামার আগে বুধবার ইস্টবেঙ্গলকে মাটি ধরাল গোকুলম। আজ যদি গোকুলমের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতত বা ড্র করতো ইস্টবেঙ্গল, তা হলে রবিবাসরীয় দ্বৈরথে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে পারতেন কোলাডোরা। এ দিনের লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার মতোই। রবিবারের জন্য আলেয়ান্দ্রো কী ভাবে তাঁর সৈনিকদের তৈরি করেন সেটাই দেখার।
ডুরান্ড কাপে এই গোকুলমের কাছে হেরেই ফাইনালে উঠতে পারেনি লাল-হলুদ। ফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ কেরলে নিয়ে গিয়েছিলেন হেনরি-মার্কাসরা। আই লিগে মোহনবাগান অবশ্য গোকুলমকে হারিয়ে ডুরান্ড-হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল। এ দিন ইস্টবেঙ্গল গোকুলমের স্রোতে ভেসে গেল।
আরও পড়ুন: পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে পন্থকে, দলের সঙ্গে গেলেন না রাজকোট
গত বছর সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলেছিলেন উগান্ডার স্ট্রাইকার হেনরি কিসেক্কা। বাগানে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। তাঁকে ঠিকঠাক ব্যবহারও অবশ্য করা হয়নি।বাগানের হয়ে ডার্বিতেও নিষ্প্রভ ছিলেন হেনরি। সেই তিনি এ দিন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। ২১ মিনিটে হেনরি এগিয়ে দেন গোকুলমকে। এর ছ’ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। লালরিনডিকা রালতের ফ্রি কিক থেকে আশিরের হেড গোকুলমের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল থেকে আইদারা সমতা ফেরান। পিছিয়ে থেকে যে ভাবে ফিরে এসেছিল মেনেন্ডেজের ছেলেরা, তাতে সমর্থকরা অন্য রকম কিছু ভেবেছিলেন।
কিন্তু বিরতির ঠিক আগে দলকে বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে ক্রেসপিই নিজের জালে জড়িয়ে দেন বল। বিরতির পরে গোকুলমের হয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান মার্কাস জোসেফ। লাল-হলুদ গোলকিপার রালতের ভুলে তৃতীয় গোলটি করে গোকুলম। গতকাল পঞ্জাবের মাটিতে একসময়ে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। খেলার শেষ লগ্নে শ্যামনগরের ছেলে শুভ ঘোষ সমতা ফেরান সবুজ-মেরুনের হয়ে। ইস্টবেঙ্গলে নেই এরকম কোনও ‘শুভ ঘোষ’ যিনি শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেবেন।
ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাগ সমর্থকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ক্রেসপি গোল খাওয়াচ্ছেন, নিজেদের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করছেন রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। রবিবারও যদি একই ভুল হয়!
স্ট্রাইকার মার্কোসের কোনও ভূমিকাই নেই। হাইমে কোলাডোর খেলায় ইদানিং মনই নেই। মেজাজ হারাতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে। গতবারের ধারও হারিয়ে গিয়েছে তাঁর খেলা থেকে। লিগ যত এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে পড়ছে দৌড় থেকে। মোহনবাগান এখন শীর্ষে। লাল-হলুদ পাঁচ নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy