আন্তর্জাতিক দাবা দিবসে ইতিহাস কনেরু হাম্পির। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফিডে মহিলাদের বিশ্বকাপে শেষ চারে উঠলেন তিনি।
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দিনই হাম্পি এগিয়ে গিয়েছিলেন ১-০ গেমে আইএম সং উজিনের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি শীর্ষবাছাই লেই তিংজিও এগিয়ে গিয়েছিলেন একই ফলে গ্র্যান্ডমাস্টার নানা দাগনিদজ়ের বিরুদ্ধে। বাকি দুটি গেমে ভারতের দিব্যা দেশমুখ ও হারিকা দ্রোণাভল্লি এবং আর. বৈশালী ও তান জংগেই-এর গেম ড্র হয়েছিল।
রবিবার জর্জিয়ায় হওয়া এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় গেমে কালো ঘুঁটি নিয়ে দ্বিতীয় গেম ড্র করেন হাম্পি। ফলে তিনি ১.৫-০.৫ ফলে জিতে সেমিফাইনালে ওঠেন। প্রথম থেকেই দু’জন সতর্ক ভাবে খেলছিলেন। কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিলেন সং। মিডল গেমে হাম্পি পাল্টা জবাব দেন। শেষ পর্যন্ত ৫৩ চালের মাথায় ড্র করতে বাধ্য হন সং। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় হারিকা দ্রোণাভাল্লির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাই ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সেরা ফল ছিল। তা টপকে গেলেন হাম্পি। শেষ চারে তিনি মুখোমুখি হবেন শীর্ষবাছাই চিনের লেই তিংজির। যিনি স্থানীয় তারকা নানা দাগনিদজ়কে ২-০ ফলে হারান।
তবে আর. বৈশালী দ্বিতীয় গেমে চিনের তান জংগেই-এর কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছেন। প্রজ্ঞানন্দের দিদি বৈশালীর পক্ষে ফল দাঁড়ায় ০.৫-১.৫। এ ছাড়া দুই ভারতীয়র মধ্যে শেষ আটের লড়াই ছিল হারিকা ও দিব্যা দেশমুখের। তাঁরা দ্বিতীয় গেমও ড্র করায় কে সেমিফাইনালে উঠবেন ঠিক হবে টাইব্রেকারে। সোমবার ভারতীয় সময় বিকেলে হবে সেই টাইব্রেক। যে জিতবেন মুখোমুখি হবেন তান-এর। এই বিশ্বকাপ থেকে সেরা তিন জন ২০২৬ ক্যান্ডিডেটসে যোগ্যতা অর্জন করবেন। ভারতের এর মধ্যে একটি স্থান নিশ্চিত।
এ দিকে, রবিবার দাবা দিবসে ভিডিয়ো বার্তায় শুভেচ্ছা জানালেন কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দ, ডি. গুকেশ। সমাজমাধ্যমে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আনন্দের ভিডিয়ো-বার্তা, ‘‘আন্তর্জাতিক দাবা দিবসের শুভেচ্ছা। আমরা কেউ দাবা খেলি মনকে হাল্কা রাখার জন্য, কেউ পেশা হিসেবে। কিন্তু সবাই খেলি আনন্দের জন্য। দাবা আমায় শিখিয়েছে কঠোর অনুশীলন, একাগ্রতার গুরুত্ব। পাশাপাশি শিখিয়েছে ভাল গেম খেলা, জয়ের উচ্ছ্বাসও। এই দাবা দিবসে আসুন আমরা এক জন বন্ধুকে দাবা খেলা শেখাই।’’ পাশাপাশি গুকেশ সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘‘সব দাবাপ্রেমীদের আন্তর্জাতিক দাবা দিবসের শুভেচ্ছা। আসুন সবাই আমাদের এই সুন্দর খেলাটাকে উপভোগ করি এবং উৎসবে মেতে উঠি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)