Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Cricket

বুমরা বাহিনীতে মার্শালদের ছায়া দেখছেন বিশপ

বিশপ জানাচ্ছেন, কপিল দেব-জাভাগাল শ্রীনাথের দেখানো রাস্তায় উঠে এসেছিলেন জ়াহির খান, আর পি সিংহ, মুনাফ পটেলরা।

জুটি: ভারতীয় পেস বোলিংয়ের দুই সেরা অস্ত্র শামি-বুমরা। ফাইল চিত্র

জুটি: ভারতীয় পেস বোলিংয়ের দুই সেরা অস্ত্র শামি-বুমরা। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৩:৫১
Share: Save:

ভারতীয় পেস আক্রমণ নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে অনেকে অনেক প্রশংসাই করেছেন। এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার ইয়ান বিশপের কাছ থেকে পাওয়া গেল আরও বড় শংসাপত্র। বর্তমান ভারতীয় পেস আক্রমণকে স্বর্ণযুগের ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারির সঙ্গে তুলনা করলেন বিশপ।

একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে বিশপ বলেছেন, ‘‘এটা সম্ভবত ভারতের সেরা পেস প্রজন্ম। আর এই প্রজন্ম তৈরির প্রস্তুতিটা আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।’’ বিশপ জানাচ্ছেন, কপিল দেব-জাভাগাল শ্রীনাথের দেখানো রাস্তায় উঠে এসেছিলেন জ়াহির খান, আর পি সিংহ, মুনাফ পটেলরা। আর এখন ভারতীয় আক্রমণের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদবরা।

বিশপের কথায়, ‘‘বাইরে থেকে দেখে আমার মনে হয়েছিল, ভারত বিশেষ ভাবে চাইছে একটা পেস আক্রমণ তৈরি করতে। ওরা বুঝেছিল, ব্যাটসম্যানরা ভাল, কিন্তু বিদেশে জিততে গেলে আমাদের এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশন থেকে আসা বোলার তুলতে হবে। ঘূর্ণি পিচ না বানিয়ে এমন পিচ বানাতে হবে যেখানে পেসাররা সাহায্য পায়। এই চিন্তাধারা থেকেই ভারত আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।’’

এর পরেই ভারতীয় পেস আক্রমণের বিশাল প্রশংসা করে বিশপ বলেন, ‘‘ভারত এখন কখনও তিন পেসার, কখনও চার পেসারে খেলে। যা আমাকে পুরনো দিনের ক্যারিবিয়ান বোলিংকে মনে করিয়ে দেয়। যে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণে ছিল মার্শাল, হোল্ডিং, গার্নার, রবার্টসরা। এর সঙ্গে আমি কলিন ক্রফ্টের নামটাও জুড়ে দিতে চাই।’’ বিশপ মনে করেন, একটা দলে চার জন দুরন্ত পেসার থাকা মানে ব্যাটসম্যান কোনও সময়ই নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে না। বিশপের কথায়, ‘‘দু’জন বোলার টানা বল করার পরে অন্য দু’জন আসবে। রান উঠবে না। সব সময় উইকেট যাওয়ার ভয় থাকবে, এমনকি শারীরিক চোটেরও।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমি বুমরাকে দেখে অবাক হয়ে যাই। এই ছোট রান আপে কী ভাবে এত জোরে বল করতে পারে ও! সুস্থ থাকতে পারলে বুমরা একাই একটা প্যাকেজ।’’

অ্যামব্রোজ বনাম স্টিভ: ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত দ্বৈরথের মতো তাঁদের দু’জনের লড়াইটাও অমর হয়ে আছে। স্যর কার্টলি অ্যামব্রোজ বনাম স্টিভ ওয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়কে শুধু ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির বিষাক্ত ডেলিভারিগুলোই সামলাতে হয়নি, সামলাতে হয়েছে অ্যামব্রোজের স্লেজিংও। সেটা ১৯৯৫ সালের ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ত্রিনিদাদ টেস্টে স্টিভের কিছু মন্তব্য তাতিয়ে দিয়েছিল অ্যামব্রোজকে। একটি চ্যানেলে বিশপের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেই প্রসঙ্গ উঠলে অ্যামব্রোজ বলেন, ‘‘প্রথমে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু তার পরে মাথাটা গরম হয়ে যায়। ওকে গিয়ে বলি, আমাকে কি এই কথাটা বললে? স্টিভ জবাব দিয়েছিল, আমি যা ইচ্ছে তাই বলতে পারি। শুনে আমি মেজাজ হারাই।’’ স্টিভকে পাল্টা কী বলেছিলেন অ্যামব্রোজ? ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির জবাব, ‘‘আমি বলেছিলাম, আমার যা হবে হোক, কিন্তু তোমার ক্রিকেট কেরিয়ার এখনই শেষ করে দেব। মেরে তোমাকে অজ্ঞান করে দেব। জীবনে আর খেলতে পারবে না। আমাদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটিও হয়েছিল।’’

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ নিয়ে কী বলে ডনের দেশ, শুনবে আইসিসি

আরও পড়ুন: কোহালিদের অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্ট

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jasprit Bumrah Ian Bishop
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE