আফগানিস্তানের হয়ে ম্যাচে রাশিদ, ছবি : এএফপি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়ে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল রশিদ খানকে। আইসল্যান্ডের মতো দেশের ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তাঁকে। আফগান স্পিনার জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নিলেন ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটাকেই।
ভারতের বিরুদ্ধে দারুণ ভাবে ফিরে এলেন রশিদ। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে তিনি তুলে নিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মহামূল্যবান উইকেটটি।
এদিন ভারতকে শুরু থেকেই চাপের মধ্যে রেখেছিলেন আফগান বোলাররা। রোহিত শর্মা পড়তেই পারলেন না মুজিব উর রহমানের বলটা। লোকেশ রাহুল নিজেরউইকেট ছুড়ে দেওয়ার পরে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। কেদার যাদবের সঙ্গেপঞ্চম উইকেটে৫৭ রানের পার্টনারশিপ করলেও, অত্যন্ত ধীর গতিতে ব্যাটিং করেন ধোনি ও কেদার। বারংবার চেষ্টা করেও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ৫০ ওভারের শেষে মাত্র ২২৪ রান করে ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন: বোর্ড বা অধিনায়কের জন্য মাঠে নামি না, ভারত-ম্যাচের আগে বিস্ফোরক রশিদ
টি টোয়েন্টির বিশ্বে রশিদ বিপজ্জনক বোলার। তাঁর চার ওভার বহু ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আফগান স্পিনারের মানসিকতা অনেকটা ফাস্ট বোলারদের মতোই। ফাস্ট বোলাররা একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি হজম করলে পরের বলেই ফিরে আসার চেষ্টা করেন। রশিদও তেমনটাই। ব্যাটসম্যানদের চোখে চোখ রাখতে জানেন। ইংরেজদের কাছে বেদম মার খেয়ে বেছে নিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।
আইপিএল খেলার ফলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সবাই চেনেন রশিদকে। তা ছাড়া কোহালিরা স্পিন বোলিং খুব ভাল খেলতে পারেন। এ দিন সাউদাম্পটনে রশিদের উপরে নির্দয় হতে পারলেন না কোহালিরা। উল্টে ধোনি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তাঁকে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলতে গিয়ে স্টাম্পড হলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হতশ্রী পারফরম্যান্স করে সমালোচিত হলেও, ভারতের বিরুদ্ধে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেন। রশিদের এ হেন পারফরম্যান্স যেন গোটা আফগান-দলের বোলিং বিভাগকেই অক্সিজেন দিয়ে গেল পরের ম্যাচগুলোর জন্য।
আরও পড়ুন:ধারাভাষ্য না প্রশাসনিক পদ, বেছে নিন একটা, সৌরভদের কড়া বার্তা এথিক্স অফিসারের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy