Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Aakash Chopra

২০১১-এর চেয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ দল পিছিয়ে থাকবে, দুই একাদশ বিচার করে দাবি প্রাক্তন ওপেনারের

গত বছর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল বিরাট-বাহিনী। আকাশের মতে, এই দলের ভারসাম্য ঠিক ছিল না।

বিরাটের নেতৃত্বে গত বছরের বিশ্বকাপের দলের ভারসাম্য ঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আকাশ। —ফাইল চিত্র।

বিরাটের নেতৃত্বে গত বছরের বিশ্বকাপের দলের ভারসাম্য ঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আকাশ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ১৩:০৮
Share: Save:

২০১৯ সালে বিরাট কোহালির দলের বিশ্বকাপ জেতার মশলা ছিল না। জানিয়ে দিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া। তাঁর মতে, ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে তুলনায় পিছিয়ে থাকবে এই দল।

গত বছর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল বিরাট-বাহিনী। আকাশের মতে, এই দলের ভারসাম্য ঠিক ছিল না। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘আকাশ বাণী’তে তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিরাটের দলের।

আকাশ চোপড়া বলেছেন, “সচিন তেন্ডুলকর ও রোহিত শর্মার মধ্যে যদি তুলনা করা হয়, তবে এটা কঠিন বাছাই। তবে রোহিত পাঁচটা সেঞ্চুরি করেছে একটা প্রতিযোগিতায়। যা কেউ করেনি। আর বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে যদি লোকেশ রাহুল বা শিখর ধওয়নের তুলনা হয়, তবে হৃদয় বীরুকেই চাইবে। যদিও তর্কের খাতিরে না হয় শিখরকে রাখছি। গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহালির মধ্যে কোনও সন্দেহ নেই যে এখনকার কোহালি সে বারের গম্ভীরের চেয়ে এগিয়ে। কোহালি অবশ্য ২০১১ সালের দলেও ছিল। কিন্তু তখনকার কোহালির চেয়ে এখনকার কোহালির অনেক তফাত। যুবরাজ সিংহ ব্যাটসম্যান হিসেবে অনেক এগিয়ে থাকবে দীনেশ কার্তিক বা কেদার যাদব বা ঋষভ পন্থ বা হার্দিক পাণ্ড্যর চেয়ে। এক জন বোলার হিসেবেও এদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে যুবি। সামগ্রিক ভাবে ম্যাচ উইনার হিসেবেও এগিয়ে ও-ই।”

আরও পড়ুন: পেসার হিসাবে জীবন শুরু করেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার!​

আরও পড়ুন: আমিরশাহিতে এখনও পর্যন্ত কোনও আইপিএল ম্যাচই জেতেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স!​

মিডল অর্ডার নিয়ে আকাশের বিশ্লেষণ, “২০১১ সালের বিরাট কোহালির চেয়ে আমরা ঋষভ পন্থ বা দীনেশ কার্তিক বা কেদার যাদব বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে এগিয়ে রাখতে পারি। সুরেশ রায়না আবার আর এক জন ম্যাচউইনার। যদি হার্দিক পাণ্ড্যর সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে এগিয়ে থাকবে রায়না। কেদারের সঙ্গে তুলনা করলেও সেই সময়ের রায়না এগিয়ে। ২০১৯ সালের ধোনির চেয়ে ২০১১ সালের ধোনি এগিয়ে থাকবে। কোনও সন্দেহই নেই এতে। হরভজন সিংহ আবার আর এক জন ম্যাচ উইনার। রবীন্দ্র জাডেজাও তাই। ব্যাপারটা ৫০:৫০। ফিল্ডিংয়ের জন্য জাডেজা অবশ্য বেশি নম্বর পাবে। হরভজন বেশি নম্বর পাবে বোলিংয়ের জন্য। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাটিংয়ে আবার সামান্য এগিয়ে থাকবে জাডেজা।”

দুই দলের বোলিং বিভাগের তুলনায় আকাশ বলেছেন, “জাহির খান ও জশপ্রীত বুমরা দু’জনে বোলার হিসেবে সমপর্যায়ের। দু’জনেই ম্যাচ উইনার। মহম্মদ শামি আবার সামান্য এগিয়ে থাকবে মুনাফ পটেলের চেয়ে। কুলদীপ যাদব বা যুজভেন্দ্র চহালের চেয়ে আবার এগিয়ে থাকবে আশিস নেহরা।” সার্বিক ভাবে আকাশের মূল্যায়ন, “এমএসডি’র ২০১১ সালের দল তুলনায় এগিয়ে। বেশি শক্তিশালী ম্যচ উইনিং টিম সেটা। ২০১৯ সালে আমাদের দল বিশ্বকাপ জেতার মতো ছিল না। মিডল অর্ডার ছিল ভঙ্গুর। আমাদের শামিকে খেলানো উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। দলকে ঠিকঠাক প্রস্তুত করা হয়নি। তার উপর শিখর ধওয়ন চোট পেয়ে গেল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE