হারারেতে কেদারের মার। -এএফপি
সিরিজ জেতা দূরের কথা। কোনও দিন ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে একটার বেশি টি-টোয়েন্টি জেতার রেকর্ড নেই জিম্বাবোয়ের। বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবের স্লো, লো পিচে সেই দুর্নামটা ঘোচানোর মোক্ষম একটা সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজারা। বারিন্দর স্রানের শেষ ওভারের শেষ বলটা বাউন্ডারিতে ঠেলে দিতে পারলেই এলটন চিগুম্বুরা জিম্বাবোয়েকে শাপমুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু স্রানই সেটা হতে দিলেন না। তাঁর লো, ওয়াইড ফুল টসে চিগুম্বুরার শট এক্সট্রা কভারে যজুবেন্দ্র চাহালের হাতে জমা পড়তেই তিন রানে ম্যাচ আর ২-১ সিরিজ জিতল ভারত।
ওয়ান ডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও জিম্বাবোয়ের মতো দুর্বল টিমের বিরুদ্ধেও কেন এ রকম হাল হবে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই। কেদার যাদব (৫৮) ছাড়া কেউ রান পাননি এ দিন। যার জোরে জিম্বাবোয়ের সামনে ১৩৮-৬-এর বেশি টার্গেট রাখতে পারেনি ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে শেষ পর্যন্ত থেমে যায় ১৩৫-৬।
ম্যাচের পর ধোনি বললেন, ‘‘এই ফর্ম্যাটে ম্যাচগুলো হাড্ডাহাড্ডিই হয়। জিম্বাবোয়ে ভাল বল করেছে। ওদের আরও ভাল খেলার জন্য বেশি করে ম্যাচ খেলতে হবে।’’ সঙ্গে ভারতের ক্যাপ্টেন যোগ করেন, ‘‘আমাদের আরও ফাস্ট বোলার চাই। তবে এখন গর্ব করে বলতে পারি আমাদের আরও এমন ১০-১২ জন ছেলে হাতে আছে যারা জানে কী ভাবে লড়তে হয়। যেটা ভারতীয় দলের জন্য দরকার। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় ওয়ান ডে-র থেকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা বেশি শিখতে পেরেছি।’’
এ দিন ধোনি আবার ক্যাপ্টেন হিসেবে একটা রেকর্ডও ছুঁলেন। রিকি পন্টিংয়ের ৩২৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়কত্বের নজির ছুলেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন। ২০০৭ সালে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে ধোনি ৬০ টেস্ট, ১৯৪ ওয়ান ডে আর এ দিনের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে মোট ৭০টি টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব সামলালেন। ৩৪ বছর বয়সি দেশের সফলতম অধিনায়ক ২৭টি টেস্ট ও ১০৭টি ওয়ান ডে-র পাশাপাশি এ বার জিতলেন ৪০টি টি-টোয়েন্টিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy