ঘরের মাঠে লখনউয়ের বিরুদ্ধে আবার চেনা মেজাজে কোহলি। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে আবার চেনা মেজাজে বিরাট কোহলি। সঙ্গী ছন্দে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর ওপেনিং জুটিকে দেখাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের মতোই। দু’জনের ব্যাট থেকেই এল অর্ধশতরানের ইনিংস। ভাল খেললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু তুলল ২ উইকেটে ২১২ রান। টস জিতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারল না লোকেশ রাহুলের দল।
ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছিলেন কোহলি এবং ডুপ্লেসি। সোমবার আর সেই ভুল করেননি তাঁরা। বাড়তি ঝুঁকি না নিয়েই লখনউয়ের বিরুদ্ধে ইনিংস গড়লেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এ দিন বেঙ্গালুরুর রণকৌশলেও কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেল। দু’জনেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন না। আরসিবি অধিনায়ক মূলত উইকেটের এক দিন আগলে রাখার কাজ করলেন প্রথম দিকে। আর অন্য প্রান্তে হাত খুলে মারলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মারলেন ৪টি করে চার এবং ছয়। অমিত মিশ্রর বলে আউট হওয়ার পর ডুপ্লেসির সঙ্গে জুটি বাঁধেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
রাহুলদের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেটের জুটিতে বেঙ্গালুরু তুলল ৯৬ রান। কোহলি আউট হওয়ার পর আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল ডুপ্লেসিকেও। তত ক্ষণে ১২ ওভার হয়ে যাওয়ায় এবং হাতে উইকেট থাকায় দলের রান দ্রুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মানানসই ছিলেন ম্যাক্সওয়েলও। শেষ পাঁচ ওভারে কার্যত রানের বন্যা বইয়ে দিলেন দু’জনে। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ১১৫ রান। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি করে চার এবং ছয়। অসি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এল ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। মারলেন ৩টি চার এবং ৬টি ছয়।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজে লখনউয়ের কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। আরও অবাক করে কোহলিকে আউট করা অমিতকে বেঙ্গালুরুর ইনিংসের ১৬ ওভারের পরেই তুলে নিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামিয়ে দিল লখনউ। রঞ্জি ফাইনালে ইডেনে বাংলার ব্যাটারদের সামনে ত্রাস হয়ে ওঠা জয়দেব উনাদকাটও হালে পানি পেলেন না। ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন অমিত। ৩২ রানে ১ উইকেট মার্ক উডের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy