প্রথম দু’সপ্তাহেই জমে উঠেছে আইপিএল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গত ২২ মার্চ শুরু হয়েছিল আইপিএল। ১৫ দিন হয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ১৮টি ম্যাচ। এই ১৮টি ম্যাচের নিরিখে প্রতিযোগিতার সেরা একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। কারা জায়গা পেলেন সেই দলে?
আইপিএলের সেরা একাদশ:
বিরাট কোহলি— আরসিবির ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত কমলা টুপির মালিক। চারটি ম্যাচে ২০৩ রান করেছেন তিনি। ৬৭.৬৭ গড় ও ১৪০.৯৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। কোহলিই এই দলের ওপেনার।
সুনীল নারাইন— কেকেআরের হয়ে ওপেন করতে নেমে চমক দিয়েছেন। তিনটি ম্যাচে ১৩৪ রান করেছেন। ৪৪.৬৭ গড় ও ২০৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। কোহলি শুরুতে একটু সময় নেন। তাই তাঁর সঙ্গে নারাইনই হবেন সেরা ওপেনিং জুটি। ব্যাটের পাশাপাশি দলের অন্যতম স্পিনারও তিনি। তিন ম্যাচে ৩টি উইকেট নিয়েছেন নারাইন। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৭.৩৩ রান।
সাই সুদর্শন— এ বার গুজরাত টাইটান্সের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটার। চারটি ম্যাচে ১৬০ রান করেছেন। ৪০ গড় ও ১২৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। তিনি নামবেন তিন নম্বরে।
রিয়ান পরাগ— এ বার রাজস্থান রয়্যালসে চার নম্বর জায়গা নিশ্চিত করে নিয়েছেন পরাগ। তিনটি ম্যাচে ১৮১ গড় ও ১৬০.১৭ স্ট্রাইক রেটে ১৮১ রান করেছেন তিনি। একটি ম্যাচেও আউট হননি। কমলা টুপির তালিকায় বিরাটের পরেই রয়েছেন পরাগ।
ঋষভ পন্থ— চোট সারিয়ে ফিরে স্বাভাবিক ব্যাটিং করছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। চারটি ম্যাচে ১৫২ রান করেছেন। ৩৮ গড় ও ১৫৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন তিনি। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। এই দলের উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক পন্থই।
হেনরিখ ক্লাসেন— দলের আর এক বিদেশি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ফর্মে রয়েছেন। চারটি ম্যাচে ১৭৭ রান করেছেন। ৮৮.৫০ গড় ও ২০৩.৪৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। শেষ দিকে বড় শট অবলীলায় খেলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার।
আন্দ্রে রাসেল— ক্লাসেনের সঙ্গী হবেন কেকেআরের রাসেল। তিনটি ম্যাচে ১০৫ রান করেছেন তিনি। ৪৪ গড় ও ২৩৮.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন। ক্লাসেন ও রাসেল মেজাজে ব্যাট করলে তা প্রতিপক্ষ দলের কাছে দুঃস্বপ্ন। বল হাতেও কার্যকরী রাসেল। এ বার তিন ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দলের চতুর্থ পেসার হিসাবে কাজ করবেন তিনি।
ট্রেন্ট বোল্ট— নতুন বলে ভয়ঙ্কর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের এই বাঁহাতি বোলার। তিনটি ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি ৭.৮১ রান দেওয়া বোল্ট এই দলের পেসার।
যুজবেন্দ্র চহাল— দাবার চালের মতো চলে তাঁর মস্তিষ্ক। রাজস্থানের স্পিনার তিনটি ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতেও ওভার প্রতি ৫.৫১ রান দিয়েছেন তিনি। নারাইনের সঙ্গে স্পিন বিভাগ সামলাবেন চহাল।
মায়াঙ্ক যাদব— এ বারের আইপিএলের সেরা আবিষ্কার লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই পেসার। ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন, যা এ বারের দ্রুততম। তাঁর গতি সমস্যায় ফেলেছে বিদেশি ক্রিকেটারদেরও। দু’টি ম্যাচে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। ওভার প্রতি ৫.১২ রান দিয়েছেন। এই দলে তিনি রয়েছেন।
মোহিত শর্মা (ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার)— এ বারের সেরা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার তিনি। প্রতি ম্যাচে নিজের দায়িত্ব পালন করেন। চারটি ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়ে বেগনি টুপির মালিক তিনি। ডেথ ওভারে বল করার দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy